রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, যুবদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেশ ও বিদেশের শ্রমবাজারের উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে।
শনিবার (১৫ জুলাই) ‘বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস-২০২৩’ উপলক্ষ্যে এক বাণীতে তিনি বলেন, “জাতিসংঘের আহ্বানে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও জাতীয় উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ‘বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস ২০২৩’ পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।”
রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি সুখী ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখেছিলেন। সমৃদ্ধ সোনার বাংলা নির্মাণে তিনি যুবদের কর্মদক্ষতা বাড়ানো এবং কর্মমুখী শিক্ষার প্রতি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, বিশ্বায়ন ও তথ্য-প্রযুক্তির উৎকর্ষতার পথ ধরে বিশ্ব আজ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুফল পেতে ই-কমার্স, ক্লাউড কম্পিউটিং, রোবোটিক্স, ব্লকচেইন, ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি), আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স, ন্যানো প্রযুক্তি ইত্যাদি বিষয়ে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে। প্রেক্ষিতে যুবদের বর্তমান ও ভবিষ্যতের সম্ভাবনাময় পেশায় প্রশিক্ষণ প্রদান করে দেশ ও বিদেশের শ্রমবাজারের উপযোগী করে গড়ে তোলা প্রয়োজন।
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও জনমিতিক লভ্যাংশের সুবিধা গ্রহণের জন্য দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ নিশ্চিতকরণ, আধুনিক কারিকুলাম প্রণয়ন, সনদায়ন এবং বিদেশে দক্ষ জনশক্তি প্রেরণে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ সম্পর্কে যুবদের অবহিতকরণ, শ্রমবাজারের চাহিদা ও পরিবর্তনের সঙ্গে দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রমে অংশীজনদের সম্পৃক্ততা নিশ্চিতকরণ এবং দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ সম্পর্কে বিদ্যমান সামাজিক নেতিবাচক ধারণা দূরীকরণে বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস ২০২৩ উদযাপন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
রাষ্ট্রপতি ‘বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস ২০২৩’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন। বাসস।