স্টাফ রিপোর্টার \ বৃহস্পতিবার ঈদযাত্রার প্রথমদিনই ঘরমুখী মানুষের ভিড় ছিল উল্লেখ করার মতো। বাস ও রেল স্টেশনগুলোতে ছিল পর্যাপ্ত যাত্রী। পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বুধবার থেকে থেকে মানুষ ঢাকা ছাড়তে শুরু করলেও বৃহস্পতিবার স্টেশনে স্টেশনে ছিল যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়।
রাজধানীর কমলাপুর, বিমানবন্দর রেলস্টেশনসহ, মহাখালী, গাবতলী, সায়দাবাদ, শ্যামলী, কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ড ও সদরঘাট লঞ্চঘাটে ঘরমুখী মানুষের যেন ছিল স্রোত। ঈদের আগের দিন শনিবার পর্যন্ত এই ভিড় থাকবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।
বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকেই পরিবার- পরিজন নিয়ে বাস, ট্রেন ও লঞ্চ ঘাটে যাত্রীদের ভীর দেখা গেছে। কাউকে কাউকে আবার টিকিটের খোঁজও করতে দেখা গেছে। লঞ্চ, বাস ও ট্রেনের ছাদে চড়েও যেতে দেখা গেছে যাত্রীদের।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেলস্টেশনে মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। ট্রেনের ছাদ, ইঞ্জিন ও দরজায় ঝুলে যেতে দেখা যায় যাত্রীদের। ট্রেনের ছাদে উঠা যাত্রীদের লাঠিপেটা করে নামিয়ে দিতেও দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের। সূত্র বলছিল, যত সংখ্যক যাত্রীর টিকিট কেটে ট্রেনে ভ্রমণ করার কথা বৃহস্পতিবার থেকেই তার দ্বিগুণ যাত্রী ট্রেনে চড়ে বসেছে।
যাত্রীদের নিরাপত্তার দিক বিবেচনা করে মাইকিং করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ, যাতে কোনো অবস্থায়ই ট্রেনের ছাদে না ওঠেন। কিন্তু কে শোনে কার কথা?
রাজধানীর বাসস্ট্যান্ডগুলোতেও ছিল ঘরমুখী মানুষের প্রচণ্ড ভিড়। টিকিট পাওয়া, যানজট, গরম সব মিলিয়ে নানা ঝক্কি ও কষ্ট থাকলেও ঈদে বাড়ি যাওয়া নিয়ে অনেকে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন।
লঞ্চঘাটেও ঘরমুখো মানুষের ভিড় লক্ষ করা গেছে। দুপুরের পর থেকেই সদরঘাট থেকে লঞ্চগুলো সময় মেনে ছেড়ে যাচ্ছে।