স্টাফ রিপোর্টার \ পবিত্র ঈদুল আজহা উৎসবমুখর ও নিরাপদ পরিবেশে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
ইতোমধ্যে কোরবানির পশুরহাটের ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঢাকার সব বিপণিবিতান, টাকা লেনদেন ও পরিবহনে মানি এস্কর্ট ব্যবস্থার পাশাপাশি সব টার্মিনাল কেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ঈদুল আজহার ছুটিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তায় বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে ডিএমপি। ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
আদেশে বলা হয়, পুলিশের গৃহীত পদক্ষেপের পাশাপাশি ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে সচেতনতা ও অংশগ্রহণে অপরাধ দমনে অনেক বেশি সফল হওয়া সম্ভব। সে লক্ষ্যে নির্দেশনাগুলো অনুসরণ করার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
নির্দেশনাগুলো হচ্ছে
১. নিজস্ব প্রতিষ্ঠান/আবাসন/অ্যাপার্টমেন্ট/বিপণিবিতানের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সিকিউরিটি গার্ডের ডিউটি জোরদার করা ও যেকোনো ধরনের অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে ২৪ ঘণ্টা নজরদারির ব্যবস্থা রাখা। সিকিউরিটি গার্ডের ডিউটি তদারকি করার জন্য মার্কেট মালিক সমিতি/ফ্ল্যাট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক তদারকি কমিটি করে ২৪ ঘণ্টা পালাক্রমে কমিটি দায়িত্ব পালন করবেন।
২. দায়িত্বরত নিরাপত্তা কর্মীদের ব্যক্তিগত প্রাক-পরিচিতি পুলিশের মাধ্যমে যাচাই করার ব্যবস্থা করা।
৩. প্রতিষ্ঠান/বিপণিবিতান/আবাসনকে সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা।
৪. প্রতিষ্ঠানের সব কর্মকর্তা/কর্মচারীকে একসঙ্গে ছুটি না দিয়ে একটি অংশকে দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত রাখা, যাতে তারা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকি করতে পারেন।
৫. সিসি ক্যামেরার ক্ষেত্রে ধারণকৃত ভিডিও হার্ড ডিস্কে ঠিকমতো রেকর্ড হচ্ছে কিনা তা নিয়মিত পরীক্ষা করে দেখা।
৬. দায়িত্বরত গার্ড-প্রতিষ্ঠানের কাছে নিকটস্থ থানা, সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-পুলিশ কন্ট্রোলরুমের মোবাইল ও ল্যান্ড ফোনের নম্বর রাখা, যাতে যেকোনো দুর্ঘটনা/অপরাধ সংঘটনের আশঙ্কা তৈরি হলে দ্রুত পুলিশকে জানানো যায়।