Search
Close this search box.

লঞ্চঘাটে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়

স্টাফ রিপোর্টার \ সেই চিরচেনা রূপে ফিরেছে রাজধানীর সদরঘাট। ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখো যাত্রীদের লঞ্চঘাটে ছুটে আসা, তাদের তোলার জন্য লঞ্চকর্মীদের হাঁক ডাক, টিকিট পেতে চলছে যাত্রীদের দৌড়ঝাঁপ ধাক্কাধাক্কি। অথচ গত ২৬ জুন পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর বদলে যায় সদরঘাটের স্বাভাবিক চিত্র। যাত্রী খরায় ভুগছিল লঞ্চগুলো। কিন্তু ঈদযাত্রার চতুর্থদিনে সদরঘাট ফিরে এসেছে তার চিরচেনা ব্যস্ততম চেহারায়। শুক্রবার সদরঘাট লঞ্চঘাটে সরেজমিনে এমন চিত্র দেখা গেছে।

এদিকে গত কয়েক দিন ফাঁকা থাকার পর ফের লঞ্চগুলো ভরতে দেখে হাসি ফিরেছে কর্মীদের মুখে। এর আগে যাত্রীদের নানা সুবিধা দিয়েও যাত্রী পাচ্ছিল না লঞ্চগুলো। অবশেষে কেটেছে সেই খরা।

শুক্রবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের চাপ বাড়তে থাকে সদরঘাটে।   ঈদুল আজহার ছুটিতে দক্ষিণাঞ্চলের হাজার হাজার যাত্রী নিয়ে সদরঘাট ছেড়ে যাচ্ছে লঞ্চগুলো। আগামী কয়েকদিন ঈদ উপলক্ষে এমন যাত্রী চাপ থাকবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

একাধিক লঞ্চের টিকেট কাউন্টার ও সংশ্লিষ্টরা জানান, ডেকে ভিড় বেশি, মধ্যম আয়ের মানুষেরা ডেকে যাচ্ছেন। কেবিনগুলো পরিপূর্ণ হতে শুরু করেছে। এখন আগের চেয়ে যাত্রীর চাপ বেশি।

যাত্রীদের চাপ সামাল দিতে ঢাকা-বরিশাল রুটে থাকছে স্পেশাল লঞ্চ সার্ভিস। নির্ধারিত ট্রিপের অতিরিক্ত হিসেবে শুক্রবার ভোর ৬টায় ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে সুরভী-৮।

সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বরিশালে যাওয়ার জন্য পারাবাত-১৮, সুন্দরবন-১০, কীর্তনখোলা-১০, সুন্দরবন-১২, মানামীসহ বিলাসবহুল ১০টি বড় লঞ্চ অপেক্ষায় রয়েছে।

এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএ সদরঘাটের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মো. শহীদ উল্যাহ বলেন, ঈদে মানুষের বাড়ি ফেরা আরামদায়ক করতে ১৫০টির বেশি লঞ্চ প্রস্তুত আছে। যাত্রীদের চাপ থাকলেও লঞ্চ সংকট হবে না। লঞ্চ যাত্রা সুন্দর ও আরামদায়ক করতে আমদের যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ