Search
Close this search box.

এডিসের প্রজননস্থল ধ্বংসে দক্ষিণ সিটির নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু : তদারকি করলেন মেয়র তাপস

১ সেপ্টেম্বর থেকে নির্দিষ্ট সময়ের পর সব দোকান বন্ধ

স্টাফ রিপোর্টার : এডিসের প্রজননস্থল ধ্বংসে দক্ষিণ সিটির নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু হয়েছে। তদারকি করলেন দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক সরবরাহকৃত ডেঙ্গু রোগীর তালিকা অনুযায়ী রোগীর বাড়ির আঙ্গিনা ও সংলগ্ন এলাকায় বিশেষ চিরুনি অভিযান পরিচালনা, ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা এবং মশক নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা ও তদারকির লক্ষে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। আজ রবিবার সকাল ১০টায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধন পরবর্তী ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক সরবরাহকৃত ডেঙ্গু রোগীর তালিকা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস এবং ডেঙ্গু রোগীর বাড়ির ছাদ হতে আঙ্গিনা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বিশেষভাবে লার্ভিসাইডিং ও এডাল্টিসাইডিং কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দেন এবং নিয়ন্ত্রণ কক্ষ হতে সংযুক্ত হয়ে সরাসরি ফেসবুক লাইভে নির্দেশিত কার্যক্রম মনিটরিং করেন।

ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস এ সময় বলেন, ‘ডেঙ্গু রোগ ও এডিস মশার বিস্তার প্রতিরোধ করার জন্য আজ থেকে আমরা কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করলাম এবং এই নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমাদের মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম আমরা সরাসরি তদারকি করব।’

প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ও আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে মশক সুপারভাইজার ও মশক কর্মীরা নিয়োজিত আছেন উল্লেখ করে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘প্রত্যেকটি রোগীর ঠিকানা চিহ্নিত করে সেই বাসাবাড়ি এবং স্থাপনার উপর থেকে নিচ পর্যন্ত কোথাও যদি পানির উৎস, এডিশ মশার উৎস থাকে সেটা নির্মূল করা। সেই এলাকা সকালবেলা লার্ভিসাইডিং করা এবং বিকেল আবার সেই এলাকাটা যথাযথভাবে ফগিং (এডাল্টিসাইডিং) করে আমরা সম্পূর্ণভাবে মশক বিস্তার নির্মূল এবং নিয়ন্ত্রণ করার কার্যক্রম নিয়েছি।’

আগামী দুই মাস এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘আমরা আশাবাদী যে, তাতে ডেঙ্গু প্রতিরোধ এবং এডিস মশার বিস্তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হব। আমাদের সকল কাউন্সিলর এরই মাঝে নেমে (কাজে) গেছে। সকাল থেকেই আমরা কার্যক্রম শুরু করেছি। আজ আমরা ১৩টি ঠিকানায় বিভিন্ন ওয়ার্ডে ১৩ জন রোগীকে শনাক্ত করতে পেরেছি। এছাড়াও আমাদের নিয়মিত কার্যক্রম — সেটাও আমরা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকেই সরাসরি তদারকি করব।’

মশক সুপারভাইজার, কাউন্সিলর এবং আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাগণ সরাসরি তথ্য দিচ্ছেন জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র বলেন, ‘এছাড়াও ম্যাজিস্ট্রেটরা বিভিন্ন নির্মাণাধীন বাসা, সরকারি আবাসনসহ যে সকল জায়গায় আমরা ব্যত্যয় পাচ্ছি সেসব জায়গায় আমরা ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করছি। জরিমানা করছি এবং সচেতন করার চেষ্টা করছি।’

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহম্মদ, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ