স্টাফ রিপোর্টার \ রাজধানী ও নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় অভিযান চালিয়ে ইয়াবা ও আইস সিন্ডিকেটের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাদের অবস্থান সনাক্তের মাধ্যমে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রায় ৫৪ লাখ টাকা মূল্যের ১১ হাজার ২০০ পিস ইয়াবা ও ২০০ গ্রাম আইস জব্দ করে ডিএনসির কর্মকর্তারা।
গ্রেফতারকৃতরা কেউ মুদি দোকানকার, কেউ ব্যবসায়ী, কেউ ইলেকট্রিশিয়ান, কেউবা বাসের সুপারভাইজার। তবে এসব পেশার আড়ালে তাদের প্রত্যেকে মাদকদ্রব্য ইয়াবা নাহলে আইস ক্রয় বিক্রয়ের সাথে জড়িত।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো(উত্তর) কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. রাশেদুজ্জামান জানান, টেকনাফ থেকে ইয়াবা ও আইস এনে ঢাকা ও ফতুল্লায় গড়ে ওঠা একটি মাদক সিন্ডিকেটের তথ্য পায় গোয়েন্দা দল। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সিন্ডিকেটটিকে নজরদারিতে আনা হয়।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক জনাব মো. জাফরুল্লাহ কাজলের নির্দেশনায়, ঢাকা মেট্রো. কার্যালয়ের (উত্তর) সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে উত্তরা, ধানমন্ডি, গুলশান, তেজগাঁও ও রমনা সার্কেলের সমন্বয়ে গঠিত টিম ২২ জুলাই ও ২৩ জুলাই ঢাকা ও ফতুল্লায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
অভিযানকালে হাতিরঝিল থানার নয়াটোলা পাগলা মাজার এলাকা থেকে এক হাজার পিস ইয়াবা ও ২০০ গ্রাম মিথাইল অ্যামফিটামিনযুক্ত ক্রিস্টালম্যাথসহ (আইস) রফিক উল্লাহ (২২) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি পেশায় মুদি দোকানদার। তার বাড়ি কক্সবাজারের টেকনাফে।
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার বেগুনবাড়ি থেকে দুই হাজার পিস ইয়াবাসহ সরওয়ার কামালকে (২৩) গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি পেশায় শ্রমিক। তার বাড়িও কক্সবাজারের টেকনাফে। একই এলাকা থেকে এক হাজার পিস ইয়াবাসহ ইমরান হোসেনকে (৩০) গ্রেপ্তার করা হয়। পেশায় ব্যবসায়ী ইমরানের বাড়ি বরিশালে।
মহসিন (৩২) নামক এক ব্যক্তিকে চার হাজার পিস ইয়াবা ও ইয়াবা বিক্রয়ের তিন লাখ টাকাসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। টি-শার্ট বিক্রির আড়ালে ইয়াবা কারবারে জড়িত নারায়ণগঞ্জের এ বাসিন্দা।
মো. মিরাজ শেখকে (৩৩) দুই হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি অটো রিকশায় যাত্রী পরিবহনের আড়ালে ইয়াবা কারবারে জড়িত। তার বাড়ি রাজবাড়ীতে।
প্রথম গ্রেপ্তার রফিক উল্ল্যাহকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে রমনা সার্কেলের বিশেষ টিম শনিবার (২৩ জুলাই) সকালে অভিযান চালিয়ে ঢাকার হাতিরঝিল থানা এলাকা থেকে প্রান্ত ভট্টাচার্য (২৫) ও মামুনুর রশীদ মিম (২১) নামে দুজনকে এক হাজার ২০০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। প্রান্ত একটি পরিবহন কোম্পানির সুপারভাইজার। তার বাড়ি নাটোরে। মামুনুর রশীদের বাড়িও নাটোরে। তিনি পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান।
ইতোমধ্যে রফিক উল্লাহ (২২) ও ইমরান হোসেনকে (৩০) আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তার অন্যদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।