Search
Close this search box.

দুর্যোগের সময়ও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই বাংলাদেশ এখনো সচল রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

দুর্যোগের সময়ও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই বাংলাদেশ এখনো সচল রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে উন্নত দেশ হিমশিম খাচ্ছে। ডলারের দাম বাড়ছে, কমছে। জ্বালানির দাম বাড়ছে। উন্নত দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রত্যেকটি জিনিসের দাম বাড়ছে। এমন দুর্যোগের সময়ও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই বাংলাদেশ এখনো সচল রয়েছে।’

শনিবার বিকেলে আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের যৌথসভার শুরুতে দলের সভাপতি শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এ সভায় গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

দেশের নির্বাচন ব্যবস্থায় ডিসিপ্লিন এসে থাকলে, সেটা আওয়ামী লীগের হাত ধরে এসেছে দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটের অধিকারে বিশ্বাসী। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত হয়, মানুষ ভালো থাকে। দুর্যোগ-দুর্বিপাকে আওয়ামী লীগ মানুষের পাশে আছে।’

তিনি বলেন, জাতির পিতা স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন, তার আদর্শ আমাদের চলার পথের পাথেয়। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণে আজ আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জনে সক্ষম হয়েছি। ১৯৭৫ সালের পর যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারা দেশে সন্ত্রাস-দুর্নীতি করেছে। জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। একমাত্র আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে জনগণকে সেবা দিয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকলেই দেশে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মানি লন্ডারিং চলে। যারা এসব কাজে ব্যস্ত থাকেন, তারা তো দেশের জন্য কাজ করবেন না। বিএনপি যখন ছিল তখন বাংলাদেশ পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে দেশের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে এনেছে।

দেশে কেউ গৃহহীন থাকবে না উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ভূমিহীনদের ঘর দেওয়ার কাজ বঙ্গবন্ধু শুরু করেছিলেন। আজ সারাদেশে ঘর করে দিচ্ছি। যার কিছু ছিল না, আজ তাদের জীবন পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। কেউ বাদ যাবে না, সবাইকে ঘর করে দেবো।

 

আরও পড়ুন : হতাশাগ্রস্ত হওয়ার কিছু নেই: প্রধানমন্ত্রী

 

যৌথসভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ, বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে শনিবার সকালে ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক-২০২২’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘করোনা মহামারি, ইউক্রেন যুদ্ধ ও যুক্তরাষ্ট্রের স্যাংশনের প্রভাবে সারাবিশ্বে যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশেও তার প্রভাব পড়েছে। এ নিয়ে হতাশাগ্রস্ত হওয়ার কিছু নেই। যখন যে অবস্থা হবে, সে অবস্থায় মানিয়ে চলতে হবে। আমাদের যতটুকু ব্যবস্থা আছে, সেটুকু নিয়েই আমরা চলবো।’

রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনের ওই অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে গণভবন থেকে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি উন্নত দেশের অবস্থা করুণ। সেখানে আমরা কোথায়? তারপরও আপনারা প্রত্যেকে স্ব স্ব দায়িত্ব পালন করেছেন বলে আমরা এখনো অনেক দেশ থেকে ভালো আছি। তারপরও প্রত্যেককে সাশ্রয়ী হতে হবে। অহেতুক কোনো সম্পদের অপচয় যেন না হয়, সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা জানি পত্র-পত্রিকায় অনেকে অনেক কথা লিখবে। টকশোতে অনেক কথা বলবে। বিরোধী দলও অনেক কথা বলবে। বলাই তাদের কর্তব্য। আমাদের আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে, সঠিক পথে আছি কি না। ঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছি কি না। সঠিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছি কি না। দেশের সাধারণ মানুষ সেবা পাচ্ছে কি না। সেবাটা নিশ্চিত করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কে কী বললো, সেদিকে খুব বেশি একটা নজর দিতে হবে না। কে কী বললো সেটা শুনে হয়তো আমরা আমাদের কোনো ঘাটতি আছে কি না, ওইটুকু নেবো। তাদের কথায় যেন কেউ বিভ্রান্ত না হন, হতাশ না হয়ে যান। হতাশাগ্রস্ত হওয়ার কিছু নেই, যখন যে অবস্থা হবে, সে অবস্থায় মানিয়ে চলতে হবে। আমাদের যতটুকু ব্যবস্থা আছে, সেটুকুই নিয়ে আমরা চলবো।’

পদকপ্রাপ্তদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনারা আপনাদের স্ব স্ব দায়িত্ব পালন করে যান। আমরা আগামী প্রজন্মের জন্য সোনার বাংলা গড়ে তুলবো। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘দুই জেলাসহ ৫২টি উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করতে পেরেছি। আশা করি শিগগিরই সারাদেশকেই ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করতে পারবো। প্রত্যেকটা মানুষের জন্য একটু জমি ও একটা ঘর নিশ্চিত করতে পারবো। এটা আমাদের উন্নয়নে সহায়ক হবে।’ অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, সচিব কে এম আলী আজমসহ সরকারের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ