স্টাফ রিপোর্টার \ গার্মেন্টস পণ্যের আড়ালে অভিনব পন্থায় শুল্ক ফাঁকি দিয়ে প্রায় ৩৭ কোটি টাকা মূল্যের বিদেশি মদ ও কোটি টাকা মুল্যের দেশি ও বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করে র্যাব। ২৩ জুলাই দুপুরে সিন্ডিকেটের দুই সদস্য কে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃতদের দেয় তথ্য মতে সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা আব্দুল আহাদকে রবিবার রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১।
রবিবার দুপুরে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইং এর পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, গত ২৩ জুলাই র্যাব-১১ গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানার টিপর্দির সালাউদ্দিন সাহেবের পার্কিং স্ট্যান্ড এর সামনে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী মহাসড়কের উপর চেকপোস্ট স্থাপন করে সন্দেহজনক ঢাকাগামী বিভিন্ন মালবাহী ট্রাক এবং কন্টেইনারসহ টেইলার তল্লাশী শুরু করে।
তিনি জানান, তল্লাশীর এক পর্যায়ে সন্দেহজনক দুইটি কন্টেইনার টেইলার থেকে তল্লাশী করে বিভিন্ন ব্র্যান্ডে মোট ৩৬,৮১৬ বোতল বিদেশী মদ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মাদকের সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মোট ৩১,৫৮,৮০,০০০.০০ টাকা ভ্যাটসহ সর্বমোট মূল্য ৩৬,৮৮,৮০,০০০.০০ টাকা।
চালানের তথ্য যাচাই বাছাই করে এই অবৈধ চালান আমদানী কারবারের সাথে জড়িত দুই জনের ঢাকার ওয়ারীর বাসায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান নগদ দেশী এবং বিদেশী মুদ্রা জব্দ করে র্যাব সদস্যরা। জব্দকৃত মূদ্রার পরিমান বাংলাদেশী টাকা ৯৮,১৯,৫০০, নেপালী রুপি ১৫,৯৩৫, ইন্ডিয়ান রুপি ২০,১৪৫, চায়না ইওয়ান ১১,৪৪৩, ইউরো ৪,২৫৫, থাই বার্থ ৭,৪৪০, সিংগাপুর ডলার ৯ এবং মালয়েশিয়ান রিংগিত।।
গ্রেফতারকৃতরা হলো (১) মোঃ নাজমুল মোল্লা (২৩), (২) মোঃ সাইফুল ইসলাম @ সাইফুল (৩৪) ।
পরবর্তীতে তাদের দেয়া তথ্যমতে রবিবার সকালে বিমান বন্দর এলাকা থেকে এই চক্রের মূল হোতা আব্দুল আহাদ (২২) কে গ্রেফতার করে র্যাব।
কমান্ডার মঈন আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে তারা আরও জানা যায়, এই মাদক সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা গ্রেফতারকৃত আহাদ (২২) এবং মিজানুর রহমান আশিক (২৪) সম্পর্কে দুই ভাই । তারা গত এক বছর যাবত এই অবৈধ কারবারের সাথে জড়িত। তারা সি এন্ড এফ এর যোগসাজশের মাধ্যমে এই অবৈধ মাদক আমদানি কার্যক্রম পরিচালনা করে । অবৈধ মাদক আমদানির ক্ষেত্রে তারা বিভিন্ন কোম্পানির কাগজপত্র ব্যবহার করে । এই চক্রটি দেশে টিভি ও গাড়ির পার্টস ব্যবসার আড়ালে অবৈধ মাদকদ্রব্য বিপনন নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে। অবৈধ মাদক বিদেশ থেকে আনার পরে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর, রাজধানীর বংশাল ও ওয়ারীতে ওয়্যার হাউসে রাখা হয়। পরবর্তীতে সুবিধাজনক সময়ে এই সকল অবৈধ মাদক বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে।
তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের মাধ্যমে আদালতে প্রেরন করা হবে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।