স্টাফ রিপোর্টার ॥ পদ্মা সেতুর একমাস হতেই এই সেতুতে ঘিরে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বিনিয়োগের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে অনেক দফা দাবি জানিয়েছে বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি।
দাবিগুলো হলো –
১. সরকারি অর্থায়নে দুই বছরের মধ্যে বিমানবন্দর নির্মাণ
২. অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণের জন্য স্থান নির্ধারণ
৩. মংলা বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ আকরাম পয়েন্টে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ
৪. খুলনা-মংলা-ভাঙ্গা মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করা
৫. পর্যটন শিল্প বিকাশে সব সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করা
৬. সড়ক পথে খুলনা থেকে দাকোপের কৈলাশগঞ্জ পর্যন্ত ৩২ কিলোমিটার হাইওয়ে তৈরি করা
৭. বন্ধ থাকা টেপটাইল মিলের ২৬ একর জমির ওপর দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ
৮. মংলা বন্দরের নৌপথ সচল রাখতে রূপসা
৯. ভৈরব ও পশুর নদীতে নিয়মিত ড্রেজিং করা
১০. রূপসা-ভৈরবের তীর ঘেঁষে রিভারভিউ পার্ক নির্মাণ
১১. মুজগুন্নি এলাকায় পর্যটন করপোরেশনের জমিতে হোটেল-মোটেল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ
১২. ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা রেল সেতুকে কার্যকর করতে খুলনার সঙ্গে রেল যোগাযোগের পরিকল্পনা গ্রহণ
১৩. খুলনা-ফকিরহাট-গোপালগঞ্জ মহাসড়কের চাপ কমাতে ফুলতলা থেকে নড়াইল ও ভাঙ্গা হয়ে পদ্মা সেতু পর্যন্ত ও ভৈরব সেতুর মাধ্যমে দীঘলিয়া-তেরখাদা-গোপালগঞ্জ হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত সড়ক নেটওয়ার্ক তৈরি করা
খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। বলা হয়, ১৯৯৬ সালে রামপাল উপজেলার ফয়লা এলাকায় বিমানবন্দরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ১৯৪ হেক্টর জমি বিমানবন্দরের জন্য নির্ধারিত থাকলেও দীর্ঘদিনেও তা নির্মাণ হয়নি। দেশে ৯৭টি বেজা/অর্থনৈতিক অঞ্চল সরকার অনুমোদন দিয়েছে। ইতোমধ্যে ২৫-৩০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের কাজ শুরু করেছে। কিন্তু খুলনায় এখনও পর্যন্ত কোনো অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান নির্ধারণ হয়নি। এ কারণে সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি অর্থনৈতিক অঞ্চল বা শিল্পাঞ্চলে গ্যাসের পাইপলাইন বসাতে পারছে না। খালিশপুর শিল্পাঞ্চলে নিউজপ্রিন্ট মিল, হার্ডবোর্ড মিল ও কয়েকটি পাটকল বন্ধ রয়েছে। ওইসব স্থানে পাটের বহুমুখী ব্যবহারসহ সময়ের চাহিদা অনুযায়ী শিল্পকারখানা গড়ে তুলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হলে পদ্মা সেতুর সফলতা বাড়বে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা খুলনা টেপটাইল মিলের ২৬ একর জমির ওপর আধুনিক বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা সম্ভব। নগরীর মুজগুন্নিতে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের যে জমি রয়েছে তা কাজে লাগিয়ে সুন্দরবনসহ এ অঞ্চলের ইতিহাস-ঐতিহ্যের পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটানোও এখন সময়ের দাবি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উন্নয়ন কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ-উজ-জামান, সাবেক সভাপতি শেখ মোশাররফ হোসেন, সহসভাপতি শাহীন জামাল পন, আবুল বাসার, মিনা আজিজুর রহমান, মনিরুজ্জামান রহিম, মিজানুর রহমান জিয়া, মিজানুর রহমান বাবু, আরজুল ইসলাম আরজু, শেখ হাফিজুর রহমান হাফিজ, রসু আক্তার, খলিলুর রহমান, মফিদুল ইসলাম টুটুল, এসএম ইকবাল হোসেন বিপ্লব, রকিব উদ্দিন ফারাজী, আফজাল হোসেন রাজু প্রমুখ।