স্টাফ রিপোর্টার : ‘রোহিঙ্গারা আমাদের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।’ জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। শনিবার রাজধানীর রাজধানীর ইন্টার কন্টিনেন্টাল হোটেলে বাংলাদেশ ইউনাইটেড নেশনস মাইগ্রেশন নেটওয়ার্ক ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত মানবপাচার প্রতিরোধে জাতীয় পরামর্শক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ মিয়ানমার হতে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হওয়া রোহিঙ্গা নাগরিকদের কারণে ভিকটিম হয়ে গেছে। আমাদের সম্পদ সীমিত। বিভিন্ন সংস্থা রোহিঙ্গাদের খাদ্য ও সহায়তা নিশ্চিত করলেও দিন যত যাচ্ছে, তারা আমাদের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বাংলাদেশ দ্রুতই তাদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তন চায়।’
তিনি বলেন, ‘মানবপাচার রোধে সরকার আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। মানবপাচার ইস্যুকে সরকার গুরুত্ব দিয়ে দেখে। যুক্তরাষ্ট্রের মানবপাচার সূচকে বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্তরে অবস্থান করছে। এটি মানবপাচারের বিরুদ্ধে অবস্থানের প্রতিফলন।’
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘মানবপাচারকারীরা সাইবার স্পেসে ঢুকে গেছে। তারা বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে মানবপাচার করছে। সাম্প্রতি ফেসবুক ও টিকটকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে মানবপাচার বেড়েছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রথমবারের মতো এই দিনটি উদযাপনের অর্থই হচ্ছে মানবপাচার প্রতিরোধে সরকার কতটা অঙ্গীকারবদ্ধ। মানবপাচারের মতো ঘৃণ্য অপরাধের বিষয়ে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে। এই অপরাধ রোধে সরকার আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন করেছে।’
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো আকতার হোসেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চর্ড, ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চেটারসন ডিকসন, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি চিফ অব মিশন স্কট ব্র্যান্ডন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের ভারপ্রাপ্ত চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স জেরেমি অপরিটসো, বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক জিন লুইস, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম এর চিফ অব মিশন আব্দুসসাত্তর ইজয়েভসহ অন্যরা।