স্টাফ রিপোর্টার \ শিয়া সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান পবিত্র আশুরা উদযাপন ও তাজিয়া মিছিল উপলক্ষে ডিএমপির পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে সর্ব্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। হোসাইনী দালান ইমামবাড়া পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এমনটিই জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মোহাঃ শফিকুল ইসলাম।
আশুরা ও তাজিয়া শোক মিছিলের নিরাপত্তা সম্পর্কে ডিএমপি কমিশনার বলেন, তাজিয়া মিছিল সম্পূর্ণ নিরাপত্তার বলয়ে বেষ্টিত থাকবে। ‘নিরাপত্তা ব্যবস্থার মূল বৈশিষ্ট্য হলো চেকপোস্ট থাকবে, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পিকেট ডিউটি থাকবে, রূফটপ ডিউটি থাকবে। পাশাপাশি যেসকল ক্যাম্পাস থেকে তাজিয়া মিছিলগুলো শুরু হবে সেসকল স্থানে ডগস্কোয়াড এবং বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট থাকবে। তাছাড়াও যে রাস্তা দিয়ে তাজিয়া মিছিল যাবে সেই রাস্তা সম্পূর্ণ নিরাপত্তার বলয়ে বেষ্টিত থাকবে।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে শিয়া সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে রাজধানীর হোসাইনী দালান ইমামবাড়ায় এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘কয়েকদিন আগে থেকেই বিভিন্ন এলাকায় যেসমস্ত আবাসিক হোটেল ও মেস আছে সেগুলোতে তল্লাশি, রেইড, ব্লক রেইড পরিচালনা করা হবে। পাশাপাশি সোস্যাল মিডিয়াতে এই নিয়ে কোন অপপ্রচার বা হিংসাত্মক কোন স্পিচ দেয়া হচ্ছে কি না সেগুলো আমরা লক্ষ্য রাখবো এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো‘।
তিনি আরও বলেন, তাজিয়া মিছিলের অনুষ্ঠানিকতা মূলত ৭ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে ৯ আগস্ট পর্যন্ত চলবে। তবে কিছু কিছু জায়গায় ৬ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে যাবে আনুষ্ঠানিকতা। মূলত এই অনুষ্ঠানটি চার দিনব্যাপী।
নগরবাসীর প্রতি আহবান জানিয়ে কমিশনার বলেন, আমরা জানি কোনো কোনো তাজিয়া মিছিলে লক্ষাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করে। ফলে নগরবাসীকে অনুরোধ করবো তাজিয়া মিছিলের কারণে রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হতে পারে, আপনারা ধর্মীয় অনুষ্ঠান হিসেবে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আমরাও সাধ্যমতো চেষ্টা করবো যাতে মানুষের ভোগান্তি কম হয়।
অত্যন্ত সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে এ ধর্মীয় উৎসব সম্পন্ন করতে পারবো বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ডিএমপি কমিশনার।
উল্লেখ্য, আগামী মঙ্গলবার (৯ আগস্ট ২০২২) পবিত্র আশুরা পালিত হবে। হিজরি মহররম মাসের ১০ তারিখ আশুরায় বাংলাদেশে সরকারি ছুটি থাকে। ইসলামের ইতিহাসে ৬১ হিজরি তথা ৬৮০ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সঃ)-এর দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসেন (রাঃ) ফোরাত নদীর তীরে কারবালা প্রান্তরে শহীদ হন। সেই থেকে মুসলিম বিশ্বে কারবালার শোকাবহ ঘটনাকে ত্যাগ ও শোকের প্রতীক হিসেবে পালন করা হয়।