স্টাফ রিপোর্টার \ শেখ কামাল বেঁচে থাকলে উন্নয়ন আরও সুগম হতো বলে মন্তব্য করেছেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার।
তিনি বলেছেন, ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ১৫ আগস্টের কালরাতে ঘাতকের নির্মম গুলিতে মাত্র ২৬ বছর বয়সে শহীদ হওয়ার আগেও তিনি দেশ ও জাতির কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন। তিনি বেঁচে থাকলে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথ আরও সুগম হতো এবং এত দিনে হয়তো বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে উঠতো।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর মিরপুর-১৩ এলাকায় বায়তুর রেজা জামে মসজিদে পবিত্র জুমার নামাজ আদায়ের পূর্বে মুসল্লিদের উদ্দেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা-উত্তর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠন ও পুনর্বাসন কর্মসূচির পাশাপাশি সমাজের পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে তার অসামান্য অবদান রয়েছে। তিনি উপমহাদেশের অন্যতম ক্রীড়া সংগঠন আবাহনী ক্রীড়া চক্রের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ছাত্রলীগের একজন নিবেদিত, সংগ্রামী ও আদর্শবাদী কর্মী হিসেবে ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তার অকাল মৃত্যুতে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাই কওমি সনদের স্বীকৃতি দিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির পাশাপাশি ইসলামের প্রচার ও প্রসারেও আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমান সরকারের উদ্যোগেই প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে সর্বমোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারির কবলে সমগ্র বিশ্ব বিপর্যস্ত হলেও পরম করুণাময়ের অসীম কৃপায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ সর্বস্তরের মানুষের জন্য বিনামূল্যে কোভিড-১৯ এর টিকার সুব্যবস্থাসহ অত্যন্ত সফলভাবে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দেশরত্ন শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে বলেই একসময়ের তথাকথিত তলাবিহীন ঝুড়ির দেশই এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।
এদিকে, বিকেলে শিল্প প্রতিমন্ত্রী রাজধানীর রূপনগর এলাকায় মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ভবনের অডিটোরিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এর ৭৩ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। তিনি অন্যান্য অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে ৭৩ পাউন্ড ওজনের কেক কেটে শেখ কামাল এর ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন এবং সব শহীদের বিদ্রোহী আত্মার মাগফিরাতের জন্য সবার দোয়া কামনা করেন।