Search
Close this search box.

নির্বাচন হতে না দেওয়ার আস্ফালন করে লাভ নেই : ওবায়দুল কাদের

সাধারণ মানুষের মতো মন্ত্রী-এমপিদের বাড়িতেও লোডশেডিং হোক

স্টাফ রিপোর্টার : নির্বাচনে আসা না আসা যেকোনো দলের নিজস্ব সিদ্ধান্তের ব্যাপার। কিন্তু নির্বাচন হতে না দেওয়ার আস্ফালন করে লাভ নেই বলে জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, যতই বাধাই আসুক সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আজ মঙ্গলবার সকালে তার বাসভবনে এক ব্রিফিংয়ে বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে সেতুমন্ত্রী এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার নাকি আন্দোলনে ভীত, বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য কমেডি ক্লাবের জন্য যুৎসই হতে পারে। কিন্তু দেশের বাস্তবতার সঙ্গে কোনো মিল নেই। দেশে কোথায় তাদের আন্দোলন? কোথায় তাদের উত্তাপ? জনগণ তো কিছু দেখছে না।

তিনি আরও বলেন, একবার শুনি রাজপথ দখলে নেবে, আবার শুনি সরকারকে টেনে নামাবে, কখনো শুনি নির্বাচন হতে দেবে না। আসলে বিএনপির সক্ষমতা কতটুকু তা আমাদের জানা আছে।’ বিএনপি নেতাদের প্রতিদিন অভিন্ন বক্তব্য, হুমকি-ধামকি শুনতে শুনতে জনগণ এখন হাসে বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

বৈশ্বিক সংকটের নেতিবাচক প্রভাবের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির সরবরাহে অস্থিতিশীলতা ও মূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ সংকট কোনো দেশের নয়, এ সংকট সারা বিশ্বের। এ বাস্তবতা অনুধান না করে বিএনপি ও তার দোসররা শুধু বাংলাদেশ সরকারকে দায়ী করছেন।

কথায় কথায় দুর্নীতি আর লুটপাটের কথা বলা প্রসঙ্গে বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, অন্ধকারে ঢিল না ছুঁড়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ দিয়ে বলুন, কোথায়, কারা, কে দুর্নীতি করছে। দুর্নীতির প্রশ্নে শেখ হাসিনা সরকারের শূন্য সহিষ্ণুতা নীতির কোনো নড়চড় হয়নি।

জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে পরিবহন ভাড়া সমন্বয় করা হয়েছে, কিন্তু কোনো কোনো পরিবহন বাড়তি ভাড়া আদায় করছে- এ প্রসঙ্গে আশাবাদ ব্যক্ত করে মন্ত্রী বলেন, পরিবহন মালিক-শ্রমিকগণ সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকছেন, তারাসহ বৈঠক করে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা বাস্তবে প্রয়োগ করবেন।

তিনি আরও বলেন, ‘যারা সমন্বয়কৃত ভাড়ার বেশি আদায়ের চেষ্টা করছেন- আমাদের মনিটরিং এর আওতায় তারা রয়েছেন। তাই আবারও তাদের সহযোগিতা চাচ্ছি, অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।’ পরিবহনে যারা পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণ ও ডাকাতির মতো ঘটনা ঘটায় তাদের গণশত্রু আখ্যায়িত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করছে। এদের কঠোর হস্তে দমন করতে হবে।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ