স্টাফ রিপোর্টার : নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহযোগিতা বাড়াতে চায় যুক্তরাষ্ট্র বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সাথে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বৈঠক শেষে এমন কথা বলেন। সাথে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন- র্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, র্যাবের বিষয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেছেন, তারা যেভাবে কাজ করা উচিৎ, সেভাবে করেনি বলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা ক্ষেত্রে আগের চেয়ে বেশি সহযোগিতা করতে চায়। সীমান্তে কোস্ট গার্ড ও বিজিবিকে প্রশিক্ষণেও যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করবে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। মঙ্গলবার সকালে সচিবালয়ে বৈঠক শেষে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। ইতোমধ্যে এই বিষয়ে দুই দেশ একসাথে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
পিটার হাস বলেন, বাংলাদেশে আরও কীভাবে বৃহৎভাবে কাজ করা যায় সেটা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে র্যাবের যেভাবে কাজ করার কথা সেভাবে তারা কাজ করেনি। আর এজন্য সংস্থাটির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। আমরা বলেছি, কোনো অভিযোগ পেলে সাজা দেয়া হয়। নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় সাজা খাটছে দোষীরা। আপিলে আছে। পুলিশের অনেকের সাজা হয়েছে। আত্মরক্ষার কিছু ঘটনা ঘটে। তারা বলছে, সাজার বিষয় জানানো হয় না। আমরা বলেছি, জানানো হয়। গণমাধ্যম মুক্ত এখানে। এছাড়া, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে আরও সক্রিয় হওয়ার জন্য মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বলা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন ভালো বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রদূত। তবে জানতে চেয়েছেন, নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যন্ত এমন থাকবে কিনা। আমরা বলেছি, নির্বাচনের সময় ইসির অধীনে থাকবে পুলিশ। বিরোধীদল দল সভা-সমাবেশ করতে পারছে নির্বিঘ্নভাবে।