স্টাফ রিপোর্টার : কী আশ্চর্য্যজনক ঘটনা! রাজধানীর উত্তরায় নির্মাণাধীন বাস র্যাপিড ট্রানজির (বিআরটি) প্রকল্পের গার্ডার চাপা পড়ে মৃত গৃহকর্তার লাশের দাবিতে একে একে সাতজন স্ত্রী হাজির হয়েছেন। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গের সামনে তারা সবাই নিহত রুবেলের স্ত্রী দাবি করছেন।
গার্ডার চাপায় প্রাইভেটকার যাত্রী একই পরিবারের পাঁচজন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে পাঁচজনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নেয়া হয়। গৃহকর্তা নিহতের রুবেলের লাশের দাবিতে ৭ স্ত্রী হাজির। নিহত রুবেলের স্ত্রীদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রুবেলের প্রথম স্ত্রীর নাম রেহানা। তার সঙ্গে বিয়ে হয় ৩০ বছর আগে। সেই ঘরের প্রথম ছেলেসন্তান হৃদয় সদ্য বিবাহিত স্ত্রীকে নিয়ে দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফেরেন। প্রথম স্ত্রী রেহানার ভগ্নিপতি রহমত জানান, আমরা শরীয়তপুরে থাকি। আমাদের রুবেল বায়িং হাউজের ব্যবসা করতেন বলে জানতাম। আমরা তেমন একটা ঢাকায় আসতাম না। মৃত্যুর খবর শুনে আসলাম। শুনেছিলাম সে দ্বিতীয় আরেকটা বিয়ে করেছেন।
রুবেলের দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম শাহেদা। তার ঘরে রত্না নামে ১৪ বছরের একটি মেয়ে আছে। তার বাড়ি মানিকগঞ্জ সিংগাইর এলাকায়। ঢাকায় উত্তরা থাকেন। তবে দ্বিতীয় স্ত্রী শাহেদা নিজেকে প্রথম স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দেন। তিনি বলেন, আমার সঙ্গে ১৯৯৯ সালে বিয়ে হয়েছে। আমিই প্রথম। আমাকে সে কখনো বলেনি তার আরেকজন স্ত্রী আছে।
রুবেলের তৃতীয় স্ত্রী দাবি করা আরেক নারীর নাম সালমা আক্তার পুতুল। মিরপুর-১০ নম্বর এলাকায় থাকেন তিনি। ঘরে বসে সেলাই মেশিনের কাজ করেন। ২০১৪ সালে রুবেলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। রুবেলের সম্পর্কে তিনি জানতেন সে একজন ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসায়ী। তবে, রুবেলের সঙ্গে বিয়ের কোনো সনদ নেই তার। এরপর পাতা খন্দকার নামে আরেকজন স্ত্রীর সন্ধান পাওয়া যায়। যাকে রুবেল বিয়ে করেন ২০২০ সালের দিকে। এছাড়া আরো তিনজন নারী রুবেলের স্ত্রী দাবি করে মর্গের সামনে লাশের অপেক্ষা করেন।