স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ভারত সফরে যাবেন। আগামী ৬ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লী সফর করবেন তিনি। সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। এছাড়াও তিনি ভারতীয় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল এবং রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সফরকালে তিনি আজমির শরীফ দরগাহ ও খাজা মঈনুদ্দিন চিশতীর মাজারে নামাজ আদায় করবেন। এ সফরে মহা ব্যস্ত সময় কাটাবেন শেখ হাসিনা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতীয় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সাথে বৈঠক আছে। রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। আজমির শরীফ দরগাহ ও খাজা মঈনুদ্দিন চিশতীর মাজারে নামাজ আদায় করবেন।
দুই দেশের মধ্যে কুশিয়ারা নদীর জলবণ্টন চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে। গঙ্গা চুক্তির সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা হবে। প্রধানমন্ত্রীর সফরে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে চুক্তি সইয়ের বিষয়টিতেই সবার নজর থাকবে। দেশের অভ্যন্তরীণ জ্বালানি চাহিদা মেটাতে ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ইন্ডিয়ান অয়েল এবং বেক্সিমকোর মধ্যে চুক্তি সই হতে পারে। ভারত থেকে বাংলাদেশে এলএনজি আমদানির বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে। সফরে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে যোগাযোগ ও বাণিজ্যের ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হবে। ভারত তার সেভেন সিস্টার রাজ্যগুলির সঙ্গে উত্তর-পূর্বে ট্রেন, স্থল ও জলপথের মাধ্যমে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে বাণিজ্য পরিচালনা করতে আগ্রহী। এ নিয়ে বিশেষ আলোচনা হতে পারে।
চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সফর করবেন। চলতি বছরের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ এবং আগামী বছরের শেষের দিকে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এই সফর তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে দাড়াচ্ছে।
এর আগে ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে দিল্লি সফর করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর একই বছরের নভেম্বরে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে গোলাপি বলের টেস্ট ক্রিকেট ম্যাচ দেখার জন্য কলকাতায় যান তিনি। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের ইভেন্টে দেখা করেছিলেন। এবার নির্বাচনের আগে হয়ত শেষবার নয়াদিল্লীতে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।