Search
Close this search box.

ছাত্রীকে যৌন হয়রানি : শিক্ষকের অপরাধ স্বীকার : শিক্ষা কার্যক্রম থেকে স্থায়ী অব্যাহতির দাবি

ঢাবি সিন্ডিকেট নির্বাচনে আওয়ামীপন্থীদের নিরঙ্কুশ জয়

স্টাফ রিপোর্টার : ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. এনামুল হকের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রী নিজেই অভিযোগ দেন। যৌন হয়রানিমূলক প্রস্তাব দিয়েছেন বলে ছাত্রী অভিযোগ করেছেন। শিক্ষক নিজেই অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমাও চেয়েছেন। তাতে করে এনামুলকে শিক্ষা কার্যক্রম থেকে এক বছরের জন্য অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করেছে বিভাগের একাডেমিক কমিটি। বিভাগটির শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষকের স্থায়ী অব্যাহতি দাবি করেছেন। এই দাবির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আগামীকাল রবিবার বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভা হবে।

সংগীত বিভাগ বলছে, কিছুদিন আগে একটি রেস্তোরাঁয় ডেকে বিভাগের ওই ছাত্রীকে যৌন হয়রানিমূলক প্রস্তাব দেন শিক্ষক এনামুল হক। ওই ছাত্রী তাতে রাজি হননি। এরপরও বারবার ছাত্রীকে একই প্রস্তাব দিতে থাকেন এনামুল। ওই ছাত্রী এনামুলের কথোপকথন মুঠোফোনে ধারণ করেন এবং বিভাগের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। গত ১৪ আগস্ট সংগীত বিভাগের একজন ছাত্রী বিভাগের চেয়ারম্যান দেবপ্রসাদ দাঁর কাছে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৭ আগস্ট এনামুলকে শিক্ষা কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।

এ নিয়ে তদন্তের জন্য ১৬ আগস্ট কমিটি করে সংগীত বিভাগ। একই দিন বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভায় তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। তখন এনামুলকে এক বছরের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পক্ষে মত দেন বেশির ভাগ শিক্ষক। তদন্ত কমিটির কাছে এনামুল তাঁর অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমাও চান। বিভাগের অধিকাংশ শিক্ষকের মতামতের ভিত্তিতে এনামুলকে সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম থেকে এক বছরের জন্য অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ চূড়ান্ত করা হয়। শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার শুধু কর্তৃপক্ষেরই আছে। অবশ্য সংগীত বিভাগের সব ব্যাচের শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত এনামুল হকের স্থায়ী অব্যাহতি দাবি করেন। বিভাগের চেয়ারম্যান বরাবর একটি আবেদনও জমা দেন। শেষপর্যন্ত কী হয়, তা দেখার অপেক্ষা সবার।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ