স্টাফ রিপোর্টার : এমপি-মন্ত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ-সবার বাসাতেই লোডশেডিং চলছে। কেউ বাদ যাচ্ছে না। এমনই বলেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। বুধবার সকালে সচিবালয়ে সময় কমিয়ে নতুন অফিসের প্রথম দিন সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মঙ্গলবার বলেছিলেন, এমপি-মন্ত্রীদের বাড়িতেও লোডশেডিং করা হোক। তিনি বলেছিলেন, সাধারণ মানুষের বাড়িতে এখন যেমন লোডশেডিং হচ্ছে, মন্ত্রী ও এমপিদের বাড়িতে লোডশেডিং হোক। এছাড়া জ্বালানি ব্যয় কমিয়ে আনতে সচিবালয়ে থাকা অতিরিক্ত গাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এসময় তিনি কৃচ্ছ্রতা সাধনে সচিবদের আরও বেশি উদ্যোগী হতে আহ্বান জানান।
ওবায়দুল কাদেরের এ কথার পরিপ্রেক্ষিতে নসরুল হামিদ বিপু বলেন, সবার বাসাতেই তো লোডশেডিং চলছে। কেউ বাদ যাচ্ছে না। তিনি বলেন, লোডশেডিং দিতে বাধ্য হয়েছি আমরা। কারণ, জ্বালানি সংকট রয়েছে। তবে বিদ্যুৎবিভ্রাটে ভারসাম্য আনার চেষ্টা করছি। লোডশেডিং আস্তে আস্তে কমে আসছে। এতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হচ্ছে।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, মধ্যরাত থেকে সেচ পাম্পের জন্য আগামী ১৫ দিন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে চাই আমরা। আশা করি, এটি সম্ভব করে ফেলব। কারণ, গ্রামাঞ্চলে এখন তা দরকার। ইতোমধ্যে বোরো মৌসুম শুরু হয়েছে।
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে এদিন থেকে সময় কমিয়ে নতুন নিয়মে অফিস করছেন সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সরকারি অফিস চলছে।