স্টাফ রিপোর্টার ॥ শ্রম আদালতে ড. ইউনূসের মামলা স্থগিতাদেশ চেয়ে করা আবেদনের খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। আগামী ২৯ আগস্ট আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।
আইন লঙ্ঘনের মামলা স্থগিত চেয়ে এবার আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ড. ইউনুসের পক্ষে তাঁর আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করেন। গত ১৭ আগস্ট মামলা বাতিল চেয়ে ড. ইউনূসের আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। এ কারণে তাঁর বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে মামলা চলতে বাধা ছিল না। এর আগে গত ১৩ জুন শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলার কার্যক্রম নিম্ন আদালতে দুই মাস স্থগিত থাকবে বলে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে এই সময়ের মধ্যে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলা কেন বাতিল হবে না, এই মর্মে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। আপিল বিভাগের আদেশে রুল শুনানি শেষে খারিজ করে দিলেন।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের পক্ষে এ বিষয়ে পক্ষভুক্ত হওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। পাশাপাশি দুই মাসের মধ্যে রুল নিষ্পত্তি সংক্রান্ত আপিল বিভাগের আদেশও উপস্থাপন করা হয়। আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, ড. ইউনূসের যে মামলাটি হাইকোর্ট বিভাগে স্থগিত করা হয়েছিল, সেটা সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার পরে সুপ্রিম কোর্ট দুই মাসের মধ্যে বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চকে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন। এখানে কলকারখানা অধিদফতরের পক্ষে যিনি মামলাটি দায়ের করেছিলেন সেই রুল থাকা অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। এখন যিনি এ মামলার দায়িত্বে আছেন তার পক্ষে মামলাটি পরিচালনার জন্য একটি দরখাস্ত দাখিলের অনুমতি চেয়েছিলাম। আর আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি যেহেতু আপিল বিভাগের নির্দেশনা রয়েছে দুই মাসের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করার জন্য। সেই আদেশের অনুলিপি আমরা আদালতের কাছে দাখিল করলাম। আদালত হলফনামা করার জন্য অনুমতি দিয়েছেন। সে অনুযায়ী রুল শুনানি হয় বলেও জানান তিনি।
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের নামে এ মামলা করেন। ড. ইউনূস ছাড়াও এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে মামলায় বিবাদী করা হয়। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। গত বছরের ১২ ডিসেম্বর শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে মামলা কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।