স্টাফ রিপোর্টার – ডলারের দাম আর না বাড়লে ভোজ্যতেলের দাম কমার আশা প্রকাশ করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ভোজ্যতেলের দাম নিয়ে শিগগির বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি) বৈঠকে বসবেন জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমেছে। ডলারের দাম যদি আর না বাড়ে এবং কমের দিকে যায়, তাহলে বাজারে এর একটা প্রভাব পড়বে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ও বাজার পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভোজ্যতেলের দাম আমরা অনেক বার বাড়িয়েছি। আবার এ পর্যন্ত তিনবার কমিয়েছি। আপনারা লক্ষ্য করবেন ৬ বা ৭ টাকা সয়াবিনে বাড়ানো হয়েছে, আবার ৭ টাকা পাম অয়েলে কমেছে। তিনি বলেন, ইন্টারেস্টিং একটি বিষয় লক্ষ্যণীয় আমাদের সয়াবিন তেল কিন্তু ৩৫ শতাংশের মতো ইমপোর্ট হয়। ৬৫ শতাংশ ইমপোর্ট হয় পাম অয়েল। অতএব সার্বিক ইমপ্যাক্টটা ভালো হয়েছে। আমরা খুব শিগগির আবারও বসবো। সময় হয়ে গেছে, হয় তো প্রথম সপ্তাহেই আমরা বসবো। এ সময় আমরা দেখে ঠিক করবো কি হওয়া উচিত। একটা ক্যালকুলেশন সিস্টেম আছে।
এ সময় ডলারের দাম নতুন করে না বাড়লে ভোজ্যতেলের দাম কমতে পারে এমন ইঙ্গিত দিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ডলারের প্রাইস যদি না বাড়ে, একটু কমের দিকে থাকে, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমেছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে আশাবাদি ডলারের দাম আর বাড়বে না, আরও কমের দিকে যাবে, তাহলে হয় তো তার একটা প্রভাব বাজারে পড়বে।
ভোক্তা অধিদফতরের অভিযান বাড়বে কি না? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, অভিযানে খালি জরিমানা করেছে। আমি বলেছি টাকা টুকা জরিমানা বাদ, মামলা করেন অন্যায় যারা করে তাদের বিরুদ্ধে। কোর্ট সিদ্ধান্ত নেবে তারা সঠিক না ভুল। দুই লাখ লাভ করলো, ৫০ হাজার জরিমানা করলে, সে তো মনের আনন্দে আছে দেড় লাখ টাকা লাভ হয়েছে।
এদিকে গত ২৩ আগস্ট মিলমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন লিটারে সয়াবিন তেলের দাম ৭ টাকা বাড়ায়। নতুন দাম অনুযায়ী, বোতলের সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৯২ টাকা, পাঁচ লিটার ৯৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া প্রতি লিটার পাম তেলের দাম ১৪৫ টাকা করা হয়।