স্টাফ রিপোর্টার – জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ইঙ্গিত দিয়েছেন জ্বালানি তেলের দাম সামনে আরও কমতে পারে। দেশের বাজারে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম লিটারে ৫ টাকা করে কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। এরপর মঙ্গলবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এমন ইঙ্গিত দেন।
ফেসবুকে নসরুল হামিদ বলেন, দেশের বাজারে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমল। আপনাদেরকে আশ্বস্ত করতে চাই, বিশ্ববাজারের সঙ্গে দেশেও আমরা নিয়মিত মূল্য সমন্বয় করব।
তিনি বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সোমবার প্রজ্ঞাপনে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডিজেলের ওপর আরোপণীয় সমুদয় আগাম কর থেকে অব্যাহতি এবং আমদানী শুল্ক ১০ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করার ফলে ভোক্তা পর্যায় জ্বালানি তেল ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্টোলের মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে। ২৯ আগস্ট রাত ১২টার পর থেকেই ডিপোর ৪০ কিলোমিটারের ভেতর ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা মূল্য প্রতি লিটার ডিজেল ১০৯ টাকা, কেরোসিন ১০৯ টাকা, অকটেন ১৩০ টাকা ও পেট্টোল ১২৫ টাকা হয়েছে।
জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা এখনও মনে করি সাধারণ মানুষের জন্য বর্তমান দামটাও একটু বেশি হয়ে যায়। সবার প্রতি অনুরোধ একটু ধৈর্য ধরুন। আশা করি এই কঠিন সময় খুব বেশি দিন থাকবে না। জনবান্ধব আওয়ামী লীগ সরকার কোনো অবস্থায়ই জনগণের কষ্ট হয় এমন কোনো কাজ করতে চায় না। বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে আমাদেরকে নিরুপায় হয়েই জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়ের পথ বেছে নিতে হয়েছে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে বর্তমানে ডিজেলের মূল্য ছিল প্রতি ব্যারেল ১৪৭ দশমিক ৬২ মার্কিন ডলার। সে অনুযায়ী প্রতি লিটার ডিজেলের মূল্য পড়ে ১২৮ দশমিক ৬১ টাকা। অর্থাৎ ১০৯ টাকা ধরে ডিজেল বিক্রয় করলে প্রতি লিটারে বিপিসির লোকসান হবে ১৯ দশমিক ৬১ টাকা। নসরুল হামিদ আরও বলেন, সবাইকে একটা তথ্য জানিয়ে রাখি-বাংলাদেশ পেট্টোলিয়াম করপোরেশন বিগত ছয় মাসে জ্বালানি তেল বিক্রয়ে (সব পণ্য) ৮ হাজার ১৪ দশমিক ৫১ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে।