Search
Close this search box.

ভয় দেখাতে কথায় কথায় গুলি চালাচ্ছে তারা – ফখরুল

ভয় দেখাতে কথায় কথায় গুলি চালাচ্ছে তারা - ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার – বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ হলেও তাতে আক্রমণ করা হয়েছে। পুলিশ আন্তর্জাতিক পুলিশ আইন মেনে চলছে না। তারা কথায় কথায় গুলি চালাচ্ছে। আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় টিকে থাকার একমাত্র মাধ্যম ভয় সৃষ্টি করা। বিরোধী দল যাতে আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে, সে জন্য মাঠ খালি করতে হামলা ও আক্রমণ করা হচ্ছে। রবিবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

বিএনপির জনসম্পৃক্ততা দেখে আওয়ামী লীগ ঘাবড়ে গিয়ে বিরোধী দলের কর্মসূচিতে হামলা শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, সরকারি দল বিএনপিকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দিতে চায়। বিএনপিকে সেদিকে নিতে না পারায় আওয়ামী লীগ মনঃকষ্টে ভুগছে। সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল সারা দেশে গত ২২ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিএনপির কর্মসূচিতে নিহত, আহত, গ্রেপ্তার ও ভাঙচুরের ঘটনার পরিসংখ্যান তুলে ধরেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, নিত্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপি আয়োজিত কর্মসূচিতে বিনা উসকানিতে অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়েছে সরকার। এখন পর্যন্ত সারা দেশে বিএনপির তিন নেতা-কর্মী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দুই হাজারের বেশি নেতা-কর্মী। গ্রেপ্তার হয়েছেন দু শর বেশি নেতা-কর্মী। সারা দেশে চার হাজারের বেশি বিএনপির নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে প্রায় ২০ হাজার।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পুলিশ এখন কোন আইন মানে না, কথায় কথায় গুলি করে। নারায়ণগঞ্জে শাওনের হত্যার প্রতিবাদে কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়েছে পুলিশ। সম্প্রতি ৩ জন মারা গেছে, আহত দুই হাজার।

তিনি বলেন, শাওন হত্যার জন্য মামলা করা হয়েছে। ১০ তারিখ পর্যন্ত কর্মসূচি দেয়া আছে, পরবর্তীতে আরো কর্মসূচি দেয়া হবে। আমাদের আন্দোলন চলছে, চূড়ান্ত বিজয় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

তিনি আরো বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন থেকেই মাঠ দখলের জন্য অত্যাচার-নিপিড়ন বাড়িয়ে দিয়েছে সরকার। এত মানুষ দেখেই তারা ঘাবড়ে গিয়ে এগুলো করছে। মিয়ানমার মার্টারশেল মারলে আমাদেরও মরতে হবে, সেই সক্ষমতা থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, ২০ থেকে ২৫টি স্থানের কর্মসূচিতে ১৪৪ ধারা দিয়ে সরকার সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে বিএনপির কর্মসূচি বন্ধ করেছে। সারাদেশে কমপক্ষে ৫০টি স্থানে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িঘর এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালিয়েছে। সারা দেশে কর্তৃতত্ববাদী গণবিরোধী, ফ্যাসিষ্ট সরকার বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের এবং সাধারণ মানুষদের হত্যা, আহত, গ্রেফতারের যে অপতৎপরতা অব্যাহত রেখেছেন, তা বন্ধের আহবান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা হত্যাকারী এবং হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, অন্যায়ভাবে গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরে আসার জন্য সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কোনো দলের সদস্য হিসেবে কাজ না করে দেশের সংবিধান রক্ষা এবং জনগণের জান-মালের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিরপেক্ষভাবে পালন করার আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, সরকার যদি এই অশুভ তৎপরতা বন্ধ না করে জনগণের যে ঐক্যের আন্দোলন শুরু হয়েছে তা ক্রমান্বয়ে গণবিস্ফোরণে পরিণত হবে এবং গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করে এই সকল অপকর্মের সাথে যারা জড়িত তাদের বিচার করা হবে। সারা দেশে আহত নেতাকর্মীদের আশু সুস্থতা কামনা করছি।

শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা, গুলি করে বিএনপিকে সহিংসতার দিকে নিতে চাচ্ছে আওয়ামী লীগ। সন্ত্রাস দিয়ে তাদের জন্ম, সন্ত্রাস দিয়ে রাজনীতি করে, সন্ত্রাস দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করে বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ