Search
Close this search box.

জয়ের রাজনীতিতে আসার বিষয়টি তার ও জনগণের ওপর নির্ভর করছে

জয়ের রাজনীতিতে আসার বিষয়টি তার ও জনগণের ওপর নির্ভর করছে

স্টাফ রিপোর্টার – একমাত্র ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় সক্রিয় রাজনীতিতে আসবেন কি না এ বিষয়ে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনালকে (এএনআই) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিস্তারিত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, জয়ের রাজনীতিতে আসার বিষয়টি তার ও জনগণের ওপর নির্ভর করছে।

শেখ হাসিনা জানান, তার সরকারের অনেক ডিজিটাল উদ্যোগের পেছনে রয়েছে ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের মস্তিষ্ক। জয় রাজনীতিতে যোগ দেবেন কি না সে সিদ্ধান্ত তার এবং দেশের জনগণের ওপর ছেড়ে দেওয়া উচিত।

ছেলের রাজনীতিতে আসা প্রসঙ্গে সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা বলেন, দেখুন… সে এখন একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ। তাই এটা তার ব্যাপার, কিন্তু সে দেশের জন্য কাজ করছে। আমরা যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি, এই সব স্যাটেলাইট, সাবমেরিন ক্যাবল বা কম্পিউটার ট্রেনিং সবকিছুই তার ধারণা। সে আমাকে সহায়তা করছে। কিন্তু সে কখনোই দল বা মন্ত্রিত্বের কোনো পদ নেওয়ার বিষয়ে ভাবেনি। এমন কিছু সে কখনও করেনি।

দলের একটি অনুষ্ঠানের কথা স্মরণ করেন শেখ হাসিনা। সেই সময়ে জয়কে একটি ভূমিকা নেওয়া উচিত বলে কর্মীদের কাছ থেকে প্রচণ্ড দাবি উঠেছিল। সে বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এমনকি আমাদের পার্টি কনফারেন্সেও তার জন্য ব্যাপক চাহিদা ছিল। তারপর আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম এবং মাইক্রোফোনে কিছু বলতে বলেছিলাম। সে সময় সে বলেছিল, ‘আমি কোনো পদ চাই না। এই মুহূর্তে যারা দলে কাজ করছে তাদের এই পদ পাওয়া উচিত। আমি কেন একটি পদে আসবো। আমি আমার মায়ের সাথে আছি, আমি দেশের জন্য কাজ করছি এবং তাকে সহযোগিতা করছি’। সে এভাবেই ভাবে। তাই বিষয়টি এমন নয় যে, তাকে আমার তৈরি করতে হবে। দুই সন্তানের মধ্যে সজীব ওয়াজেদ জয় বড়। প্রধামন্ত্রীর ছোট সন্তান সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে বংশের রাজনীতি কোনো বিষয় নয়।

আলাপকালে তার জাতির পররাষ্ট্রনীতি গঠনে তার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকার কথাও স্মরণ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমাদের পররাষ্ট্রনীতি খুবই স্পষ্ট। সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বিদ্বেষ নয়। এটি আমার পিতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘের ভাষণে বলেছিলেন। আমরা তার আদর্শ অনুসরণ করি। আমার বক্তব্য হলো- আমাদের উচিত আমাদের জনগণের দিকে মনোনিবেশ করা। কীভাবে তাদের একটি উন্নত জীবন দেওয়া যায়? কীভাবে তাদের জীবনকে উন্নত করা যায়? আমি সবসময়ই বলছি যে আমাদের একমাত্র শত্রু আছে। তা হলো দারিদ্র্য। তাই আসুন আমরা একসাথে কাজ করি।

শেখ হাসিনা বলেন, তিনি সবসময় মনে করেন যে, নেতৃস্থানীয় দেশগুলোর উচিত সবসময় সংলাপের মাধ্যমে বিরোধ ও মতভেদ দূর করা। তার কথায়, আমি সবসময় অনুভব করি যে- হ্যাঁ, যদি চীন ও ভারতের মধ্যে কোনো সমস্যা থাকে তবে আমি তাতে নাক গলাতে চাই না। আমি আমার দেশের উন্নয়ন চাই এবং যেহেতু ভারত আমাদের পাশের প্রতিবেশী, তাই আমাদের খুব ভালো সম্পর্ক আছে। আমাদের অনেক দ্বিপাক্ষিক সমস্যা ছিল এটা সত্য, কিন্তু আমরা অনেক সমস্যার সমাধান করেছি। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের অগ্রাধিকার হচ্ছে উন্নয়ন এবং জনগণের উন্নয়নের জন্য যেকোনো দেশের সহায়তা নিতে আমরা প্রস্তুত।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ