Search
Close this search box.

পুলিশ পরিচয়ে ঢাবি ছাত্রীকে তুলে নেওয়া রুবেলসহ গ্রেপ্তার ৪

পুলিশ পরিচয়ে ঢাবি ছাত্রীকে তুলে নেওয়া রুবেলসহ গ্রেপ্তার ৪

স্টাফ রিপোর্টার – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে রাজধানীর কল্যাণপুর থেকে পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেওয়া সেই অপহরণকারী রুবেলকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। শনিবার রাতে রাজধানী ও আশপাশের এলাকা থেকে রুবেলসহ তার সহযোগী আরও তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হলেন, শাকিল আহমেদ রুবেল (২৮), তার সহযোগী আকাশ শেখ (২২), দেলোয়ার হোসেন (৫৫) ও মো. হাবিবুর রহমান।

গত ২৫ অগাস্ট পুলিশ পরিচয়ে থানায় নেওয়ার কথা বলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ওই ছাত্রীকে রাজধানীর কল্যাণপুর থেকে মোটরসাইকেলে করে তুরাগ থানার দিয়াবাড়ী এলাকায় নিয়ে যান রুবেল। সেখানে ওই তরুণীর স্বর্ণের চেইন এবং কানের দুলসহ ব্যাগ ছিনিয়ে নেন তিনি। এ ঘটনায় রাজধানীর তুরাগ থানায় মামলা করেন ওই শিক্ষার্থী। সেখানে তিনি বলেন, ছিনতাইকারীর মোটরসাইকেলে ‘পুলিশ’ লেখা স্টিকার ছিল।

রবিবার সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, রুবেলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ছয়টি মামলা রয়েছে। গত ১০ বছরে দেড় হাজারের মতো ছিনতাই করেছে। অর্ধশতাধিক মেয়েকে অপহরণ করে তাদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছে বলে জানান তিনি।

তিনি জানান, রুবেলের স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে গাজীপুরসহ তিন জায়গার নাম পাওয়া গেছে। কোন ঠিকানা সঠিক সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ছিনতাইয়ের জন্য স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের অপহরণ করে অশালীন আচরণ করা ছিল রুবেলের কৌশল। অধিকাংশ ক্ষেত্রে অপহরণ ও ছিনতাইয়ের শিকার হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা বিষয়টি পুলিশকে জানাতেন না। স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল ও ব্যাগ খোয়া গেলেও অশালীন আচরণ করায় লোকলজ্জার ভয়ে তারা বিষয়টি গোপন করতেন। বরিশালেও এভাবে এক নারী শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়েছিল রুবেল।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গ্রেপ্তার বাকি তিনজন রুবেলকে মোটরসাইকেল ভাড়া দেওয়া বা অন্যভাবে সহযোগিতা করেছিলেন। তবে তারা সরাসরি অপহরণ বা ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত নন। রুবেল সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীকে পুলিশ হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন। তার কোমরে তখন পিস্তল ছিল, হাতে ওয়াকিটকি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে এর আগে পূর্বাচল, গাজীপুর, উত্তরা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ফরিদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় একইভাবে নারীদের অপহরণ করার কথা স্বীকার করেছে।

পুলিশের লোগো সম্বলিত স্টিকার রুবেল কোথায় পেলেন, তা তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান অতিরিক্ত কমিশনার। রাস্তায় কেউ মোটসাইকেলে করে এসে পুলিশ পরিচয় দিয়ে ধরে নিতে চাইলে সতর্ক হওয়ার জন্য শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পরামর্শ দেন তিনি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ