স্টাফ রিপোর্টার – ভারতের রাজস্থানের জয়পুরে আজমির শরিফে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সেখানে পৌঁছান তিনি। আজমিরে সুফি সাধক খাজা মঈনুদ্দিন চিশতির দরগায় শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা। মাজার জিয়ারতের সময় খাদেমরা তাকে অভ্যর্থনা জানান। এ সময় দরগাহর গিলাফ বদল করেন বাংলাদেশ সরকারপ্রধান।
বাংলাদেশের জনগণের জন্য দোয়া চেয়ে আজমির দরগার পরিদর্শন বইয়ে লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময়ই বলে এসেছেন, জীবনে তার চাওয়া-পাওয়ার আর কিছু নেই। তার চিন্তাচেতনায় শুধুই দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণ। ভারতের রাজস্থানের আজমিরে সুফি সাধক হযরত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতির দরগাহ জিয়ারতেও প্রধানমন্ত্রীর কথায় সে চিন্তারই প্রতিফলন দেখা গেলো। দরগাহের পরিদর্শন বইয়ে বাংলাদেশের সরকারপ্রধান লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের জন্য দোয়া চাই।’ পরিদর্শন বইয়ে প্রধানমন্ত্রীর এ লেখাটির ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সেই ছবিটি সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের জন্য দোয়া চাই, শেখ হাসিনা, ৮/৯/২০২২।’ বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হৃদয়ে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য ভালোবাসা, প্রার্থনা, চাওয়া কতখানি জুড়ে আছে, সব এ লেখাই বলে দেয়, যা তিনি হযরত খাজা গরিবে নেওয়াজ মঈনুদ্দিন চিশতি (র.) এর মাজার জিয়ারত করে লিখেছেন।
দরগায় লালগালিচায় স্বাগত জানানো হয় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে। এরপর মাজার জিয়ারত করেন তিনি। নিরাপত্তার স্বার্থে দরগায় অন্য কোনও ভক্তকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। সেখানকার বাজারও বন্ধ রাখা হয়। এর আগে শেখ হাসিনা ও তার প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের একটি বিশেষ বিমানে জয়পুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখানে তাকে স্বাগত জানান রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী বিডি কাল্লাসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা।
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশএয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে রাজস্থানের জয়পুর আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছায়। এরআগে বিমানটি নয়াদিল্লির পালাম বিমান বন্দর থেকে জয়পুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে সকাল ৯টা ১২ মিনিটে ছেড়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী সুফি সাধক হযরত মঈনুদ্দিন চিশতী (র:) মাজার খাজা গরীবে নওয়াজ দরগাহ শরীফে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করেন এবং কিছু সময় অবস্থান করেন। পরে শেখ হাসিনা আজমির দরগাহ শরীফের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন।