Search
Close this search box.

৪ দিনের ভারত সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী

৪ দিনের ভারত সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার – লাল গালিচা সংবর্ধনায় বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চারদিনের ভারত সফর এবার শুরু হয়। সোমবার সফর শুরু করেন। বৃহস্পতিবার আজমির শরীফে খাজা গরীবে নেওয়াজ দরগা শরীফ জিয়ারত ও প্রার্থনার মাধ্যমে তাঁর সফর শেষ হয়। দেশেও ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী। রাতে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী সেখানে নফল নামাজ ও মুনাজাতের মাধ্যমে দেশ, জনগণ ও মুসলিম উম্মাহ’র উন্নতি, সমৃদ্ধ ও কল্যাণ কামনা করেন। প্রধানমন্ত্রী সেখানে কিছু সময় থাকেন। এ সময় তিনি ফাতিহা পাঠ ও মুনাজাত করেন। এরপর শেখ হাসিনা আজমির শরীফ প্রদক্ষিণ করেন।

বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী ৫ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লীর পালাম বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখানে শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা সংর্বধনা দেয়া হয়। এরপর নয়াদিল্লীতে নিজামউদ্দিন আউলিয়ার দরগাহ জিয়ারত ও সেখানে প্রার্থনা করেন। ভারত সফরের প্রথম দিন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস. জয়শংকর মৌর্য্য হোটেলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর স্যুইটের সম্মেলন কক্ষে তাঁর সাথে দেখা করেন।

সফরের দ্বিতীয় দিনে শেখ হাসিনা হায়দরাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে দ্বিপাক্ষিক ও একান্ত বৈঠক করেন। নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান এবং তাঁকে আনুষ্ঠানিক গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর অভিন্ন সীমান্ত নদী কুশিয়ারা থেকে ১৫৩ কিউসেক পানি প্রত্যাহারসহ নিকটতম প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সাতটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

দুই প্রধানমন্ত্রী দু’দেশের যৌথ উদ্যোগের বেশ কয়েকটি প্রকল্প উদ্বোধন করেন। এর মধ্যে খুলনার রামপালে ১৩২০ মেগাওয়াটের কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে। পরে যৌথ বিবৃতিতে ভারত বাংলাদেশী পন্য তৃতীয় কোন দেশের রপ্তানীর জন্য ফ্রি ট্রানজিটের প্রস্তাব দেয়। শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরো জোরদার করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। একই দিন শেখ হাসিনা তাঁর সম্মানে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আয়োজিত মধ্যহ্নভোজে যোগ দেন।

তিনি ঐদিন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও উপ-রাষ্ট্রপতি জাগদীপ ধনখারের সাথে পৃথক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান। তৃতীয় ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের উন্নয়ন মন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং নোবেল বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পৃথকভাবে সাক্ষাত করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বা গুরুতর আহত ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর অফিসারদের বংশধরদের ‘মুজিব বৃত্তি’ প্রদান অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন।

সফরের শেষদিনে সকালেই শেখ হাসিনা দিল্লী থেকে রাজস্থানে যান। শেখ হাসিনা ও তার প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের একটি বিশেষ বিমানে জয়পুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখানে তাকে স্বাগত জানান রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী বিডি কাল্লাসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা। ভারতের রাজস্থানের জয়পুরে আজমির শরিফে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সেখানে পৌঁছান তিনি। আজমিরে সুফি সাধক খাজা মঈনুদ্দিন চিশতির দরগায় শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা।

মাজার জিয়ারতের সময় খাদেমরা তাকে অভ্যর্থনা জানান। এ সময় দরগাহর গিলাফ বদল করেন বাংলাদেশ সরকারপ্রধান। দরগায় লালগালিচায় স্বাগত জানানো হয় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে। এরপর মাজার জিয়ারত করেন তিনি। নিরাপত্তার স্বার্থে দরগায় অন্য কোনও ভক্তকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। সেখানকার বাজারও বন্ধ রাখা হয়। প্রধানমন্ত্রী সুফি সাধক হযরত মঈনুদ্দিন চিশতী (র:) মাজার খাজা গরীবে নওয়াজ দরগাহ শরীফে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করেন এবং কিছু সময় অবস্থান করেন। পরে শেখ হাসিনা আজমির দরগাহ শরীফের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। সেখান থেকে ঢাকায় বিশেষ বিমানে চলে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ