স্টাফ রির্পোটার- রাজনৈতিক দলগুলোর লিখিত বক্তব্য ও ভিডিও ক্লিপের ভিত্তিতে নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আমরা সভা করেছি। আমাদের কর্মকর্তারা এগুলো লিপিবদ্ধ করেছেন ও ভিডিও ক্লিপ আছে। তারা সেগুলো দেখে লিখিতভাবে আমাদের দিয়েছেন। তিনবার মিলিয়ে দেখা হয়েছে। আমরা দলগুলোর লিখিত বক্তব্য এবং ভিডিও ক্লিপের ভিত্তিতে ইভিএম নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
ইসি আলমগীর বলেন, আপনারাই তো বলেন যে, রাতে ভোট হয়, সকালে ভোট হয়, দুপুরে ভোট হয়, সেহরি খায়, ইফতারি খায়। আপনারা কী চান আবারও ব্যালটে ভোটের মাধ্যমে সেই সেহরি, ইফতারি খাক?
ইভিএম নিয়ে নতুন প্রকল্প নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, সোমবার আমরা বসবো। যদি দেখা যায় আমাদের পর্যবেক্ষণ ঠিক আছে, তবে ইভিএমের নতুন প্রকল্প অনুমোদন হবে।
সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলোর ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে দেওয়া মতামত রোডম্যাপে সঠিকভাবে ওঠে আসেনি, গণমাধ্যমের এমন প্রতিবেদন নিয়েও ব্যাখ্যা দেন সাবেক এই ইসি সচিব।
তিনি বলেন, ভোটার তালিকার সঙ্গে ইভিএমেও ফটো দেখা যায়। কাজেই কারও আঙুলের ছাপ না মিললেও একজনের ভোট অন্যজন দেওয়ার সুযোগ নেই। কারও আঙুলের ছাপ না মিললে সেই ফটো মিলিয়ে দেখা হয়।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, অনেকেই পেপার ট্রেইল রাখার কথা বলেছেন, আমরা পরবর্তীসময়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও কথা বলেছি। তারা আমাদের বলেছেন, এই মুহূর্তে এটা সংযোজন করা সম্ভব নয়। তাই এটা আমরা কিন্তু ইভিএমের বিপক্ষে সংশ্লিষ্ট দলের মতামত হিসেবে ধরে নিয়েছি।
সবদিক থেকেই আমরা নিশ্চিত হয়েছি ইভিএমে কারচুপি করা যায় না। আর অনেকেই বলেছেন যদি কারচুপি করা না যায়, তবেই ইভিএম চান তারা। কাজেই সেই হিসেবেই আমরা দেখেছি মোট ১৭টি দল ইভিএম চায়।
আলমগীর বলেন, যেখানে ইভিএম হয়েছে, সেখানেই কোনো মারামারি, রক্তপাত হয়নি, কোনো কারচুপি হয়নি এবং একটি নির্বাচন নিয়েও কোনো অভিযোগ আসেনি, চ্যালেঞ্জ করা হয়নি। তাই সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে আমরা ইভিএম নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটা আমাদের সিদ্ধান্ত-১৫০ আসনে যদি নির্বিঘ্নে ভোট নিতে পারি, বাকি ১৫০ আসনে ব্যালটে হলে যেন প্রয়োজনীয় ফোর্স মোতায়েন করতে পারি, সেভাবেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের টাকা দেন, তাহলে ৩০০ আসনেই ইভিএম করবো। এছাড়া প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা যদি করতে পারেন, আমরা ৩০০ আসনেই করবো। যেহেতু পত্রিকায় এসেছে, আমরা দেখবো আমাদের কোনো ভুল ত্রুটি আছে কি না। যদি ভুল থাকে আমরা সংশোধন করবো। ১৭০ জিবি রেকর্ড আছে আমাদের কাছে। অনেকেই লিখে নিয়ে এসেছেন বিপক্ষে, কিন্তু আলোচনা পর মাইন্ড চেঞ্জ করেছেন, আমরা তাদের পক্ষে রেখেছি।