রাকিব হাসান – দেশের সকল সিটি করপোরেশন এলাকাগুলোয় একটি কেন্দ্রীয় ও ওয়ার্ড পর্যায়ে একটি করে সামাজিক সম্প্রীতি কমিটি গঠন এবং সম্প্রীতি সমাবেশ আয়োজনের নির্দেশনা জারি করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
সিটি করপোরেশন পর্যায়ে সামাজিক সম্প্রীতি কমিটিতে মেয়র হবেন সভাপতি আর প্রধান সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা হবেন সদস্য সচিব। এ ছাড়া থাকবেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন পাঁচ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর (সংরক্ষিত আসনের দুজনসহ), বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, বিশিষ্ট সমাজসেবক, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, নারী সমাজসেবক, মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিত এক জন, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের একজন করে প্রতিনিধি, পূজা উদযাপন কমিটি, পরিষদের প্রতিনিধি, পাঁচ জন স্বেচ্ছাসেবী (স্কাউট/গার্ল গাইডস/বিএনসিসি/এনজিও প্রতিনিধি)। তবে এ কমিটি কাজের সুবিধার্থে এক বা একাধিক সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে।
কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে-
এ কমিটি সিটি করপোরেশন এলাকায় সম্প্রীতি সমাবেশ, উদ্বুদ্ধকরণ সভা, জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে বিদ্যমান সম্পর্ক ও সামাজিক বন্ধনকে সুসংহত রাখাসহ অসাম্প্রদায়িক চেতনায় ধর্মীয় ও সামাজিক বন্ধনকে এগিয় নিতে সর্বদা সচেষ্ট থাকবে; ধর্মীয় উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ, সহিংসতা ও সন্ত্রাসবাদকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রচার ও উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম গ্রহণ করবে; সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার রোধে প্রয়োজনীয় প্রচার ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করবে; মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ সব উপাসনালয়ের নিরাপত্তা বিধানে কার্যকর সহায়তা প্রদান করবে; সব ধর্মীয় উৎসব যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ উদ্দীপনার মাধ্যমে উদযাপনের পরিবেশকে অক্ষুণ্ন রাখতে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে; বিভিন্ন ধর্মের শান্তি ও সৌহার্দের বাণীসমূহ ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এছাড়া সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড পর্যায়ে সামাজিক সম্প্রীতি কমিটি থাকবে যেখানে সংশ্লিষ্ট সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর সভাপতি, সংশ্লিষ্ট এলাকার সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিশিষ্ট সমাজসেবক/স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সদস্য, নারী সমাজসেবক, সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আঞ্চলিক অফিস), সহকারী সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা (আঞ্চলিক অফিস), মসজিদের ইমাম ও মন্দিরের পুরোহিত, পূজা উদযাপন কমিটি/পরিষদ-এর প্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবী-৩ (তিন) জন (স্কাউট /গার্লস গাইড/ বিএনসিসি/এনজিও প্রতিনিধি) এবং ওয়ার্ড সচিব থাকবেন। এ কমিটি কাজের সুবিধার্থে এক বা একাধিক সদস্য কো-অপট করতে পারবে।
ওয়ার্ড কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে-
এ কমিটি সিটি করপোরেশনের ওয়ার্থ পর্যায়ে সম্প্রীতি সমাবেশ, উদ্বুদ্ধকরণ সভা, জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে বিদ্যমান আন্তঃধর্মীয় সম্পর্ক ও সামাজিক বন্ধনকে সুসংহত রাখাসহ অসাম্প্রদায়িক চেতনায় ধর্মীয় ও সামাজিক বন্ধনকে এগিয়ে নিতে সর্বদা সচেষ্ট থাকবে; ধর্মীয় উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ, সহিংসতা ও সন্ত্রাসবাদকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রচার ও উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম গ্রহণ করবে; সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার রোধে প্রয়োজনীয় প্রচার ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করবে; গির্জা, প্যাগোডাসহ সব উপাসনালয়ের নিরাপত্তা বিধানে কার্যকর সহায়তা প্রদান করবে; সব ধর্মীয় উৎসব যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ উদ্দীপনার মাধ্যমে উন্নযাপনের পরিবেশকে অক্ষুণ্য রাখতে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে; বিভিন্ন ধর্মের শান্তি ও সৌহার্দের বাণীসমূহ ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে;
কমিটির সব ব্যয় বিধিমোতাবেক সিটি করপোরেশনের নিজস্ব/রাজস্ব তহবিল থেকে মেটাতে হবে।