স্টাফ রিপোর্টার – অবৈধভাবে সাগরপথে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন রোহিঙ্গারা। কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা উপকূলে তাতে ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার বাহারছড়া উপকূলে এই ঘটনা ঘটে। সকালে রোহিঙ্গাসহ ৩৯ জনকে উদ্ধার করেছেন কোস্ট গার্ডের সদস্যরা।
মালয়েশিয়ার যাওয়ার উদ্দেশ্যে গতরাতে ট্রলারে ওঠেন তারা। ট্রলারে প্রায় ৮৫ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে ৬৫ জন রোহিঙ্গা। ট্রলারডুবির ঘটনায় বেঁচে ফেরা টেকনাফের শালবনের এক নারী বাসিন্দা বলেন, আমার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে মালয়েশিয়ায় রয়েছে। তার কাছে যাওয়ার জন্য সাগরপথ পাড়ি দিচ্ছিলাম। যাওয়ার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এর আগেও যাত্রা করে ব্যর্থ হয়েছিলাম। ট্রলারে আরও অনেক নারী ও শিশু ছিল। তাদের মরদেহ সাগরে ভাসতে দেখেছি।
বাহারছড়া কোস্ট গার্ড স্টেশনের কনটিজেন্ট কমান্ডার দেলোয়ার হোসেন জানান, রাতে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে কয়েকজন দালাল রোহিঙ্গাদের নিয়ে অবৈধভাবে সাগরপথে যাত্রা শুরু করে। কিন্তু বাহারছড়া উপকূলে এসে ট্রলারটি ডুবে যায়। সকালে খবর পেয়ে ৩৯ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে চার জন বাংলাদেশি, পাঁচ জন রোহিঙ্গা নারী ও ৩০ জন রোহিঙ্গা পুরুষ। বাংলাদেশি চার জন দালাল। বাকিরা কক্সবাজারের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা।
বাহারছড়া পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক নুর মোহাম্মদ জানান, ট্রলারটি মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য রওনা হয়েছিল। তারা কক্সবাজার ও টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রলারে ওঠে। সম্ভবত অতিরিক্ত মানুষ ওঠায় সেটি সাগরে ডুবে যায়। ট্রলারে কতজন লোক ছিল এখনও জানা যায়নি। তবে ৩৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃতদের যাচাই-বাছাই চলছে। তাদের বেশিরভাগই রোহিঙ্গা। তারা বিভিন্ন ক্যাম্পের বাসিন্দা। জেলেরা সাগরে লাশ ভাসতে দেখেছেন বলে জানিয়েছেন। তবে এখনও কোনও লাশ পাওয়া যায়নি।