স্টাফ রিপোর্টার – প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘সুনাম ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন’ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেন রাজবাড়ী জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সদস্য সোনিয়া আক্তার স্মৃতি। এ অভিযোগে দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ২টি ধারায় মামলা ও গ্রেফতার করা হয়েছে সোনিয়াকে। বুধবার ভোররাতে রাজবাড়ী সদরে নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। স্মৃতি রাজবাড়ী ব্লাড ডোনার্স ক্লাবেরও প্রতিষ্ঠাতা।
গত ৩১ আগস্ট স্মৃতির ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে ৩ অক্টোবর রাজবাড়ী সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন মো. সামসুল আরেফিন চৌধুরী। সামসুল আরেফিন রাজবাড়ী সদর উপজেলার বাসিন্দা এবং মিজানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক। তার এই লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তীতে দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৫৩ ও ৫০৫ ধারায় মামলা হয়।
দণ্ডবিধির ১৫৩ ধারায় বলা হয়েছে, দাঙ্গা সংঘটনের উদ্দেশ্যে বেপরোয়াভাবে উস্কানি দান করা—দাঙ্গা অনুষ্ঠিত হওয়ার ক্ষেত্রে বা দাঙ্গা অনুষ্ঠিত না হওয়ার ক্ষেত্রে। দণ্ডবিধির ৫০৫ ধারায় বলা হয়েছে, জনসাধারণের অনিষ্ট হতে পারে এমন ধরনের বিবৃতি দেওয়া।
স্মৃতির পোস্ট নিয়ে অভিযোগে সামসুল আরেফিন লিখেছেন, আসামি সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুনাম ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য উল্লেখিত মিথ্যা, বানোয়াট, মানহানিকর ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম/ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ করেছেন। মামলায় গ্রেপ্তারের পর বিকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় সোনিয়া আক্তার স্মৃতিকে।
রাজবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, সোনিয়া আক্তার স্মৃতিকে গতকাল আদালতে নেওয়া হলে তিনি জামিন আবেদন করেন। আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন। বর্তমানে তিনি রাজবাড়ী জেলা কারাগারে রয়েছেন।