Search
Close this search box.

জ্বালানি তেলের দাম কমার কোন সম্ভাবনা নেই – জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী

সাময়িক বহিষ্কার হচ্ছেন পিজিসিবি’র দুই কর্মকর্তা

স্টাফ রিপোর্টার – বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন আপাতত জ্বালানি তেলের দাম কমার কোন সম্ভাবনা নেই। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীতে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
নসরুল হামিদ বলেন, বৈশ্বিক কারণে জ্বালানি পরিস্থিতি নিয়ে আশাবাদী হওয়ার সুযোগ কম। দেশে চলমান লোডশেডিং আগের চেয়ে কমেছে। তবে এখনো দিনে ৫০০-৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি আছে।

বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংকের দীর্ঘসূত্রতা ও কোভিড পরিস্থিতির কারণে পিছিয়ে যায় বিদ্যুতের সঞ্চালন ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়নের অনেক কাজ। এখনও বিষয়টিতে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন নিরবচ্ছিন্ন গ্রিড পেতে প্রায় দুবছরের মতো সময় লাগবে। সরকার ধাপে ধাপে কাজ করছে।

এর আগে গত ২৮ আগস্ট ডিজেল, অকটেন, পেট্রোল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ৫ টাকা কমানো হয়। বর্তমানে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন ১০৯ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা ও পেট্রোল ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, তেল-গ্যাস আমদানির কোনো কমফোর্ট জোন পাচ্ছি না। পাঁচ ডলারের গ্যাস ৬০ ডলার হয়ে যাওয়ায় সাপ্লাই পেতে সমস্যা হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিপর্যয় নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কেন হঠাৎ জাতীয় গ্রিডে এই সমস্যা দেয়া দিয়েছে সেটা চট করে বলা যাবে না। তদন্ত কমিটি কাজ করছে। তাদের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

এছাড়া সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানি যেমন সোলার বিদ্যুৎ, বায়ু বিদ্যুৎ থেকে ১৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়ার সুযোগ নিয়ে কাজ করছে বলেও জানান তিনি। এর আগে গত বুধবার ডিজেলের দাম কমাতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনায় চিঠি দেয় তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।

সংগঠনটির দাবি, দ্রুত ইতিবাচক সিদ্ধান্ত না এলে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা হারাবে খাতটি, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে দেশের অর্থনীতিতে। আগস্টের ৫ তারিখ রাতে হঠাৎ ঘোষণায় বাড়ে জ্বালানি তেলের দাম। লিটারপ্রতি সর্বোচ্চ ৪৬ টাকা দাম বাড়ানোর প্রভাব পড়ে বাজারে। মুহূর্তেই বাড়তে থাকে সব পণ্যের দাম। জীবনযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধি তথা বাজারে জিনিসপত্রের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির কারণে সাধারণ মানুষ কোণঠাসা। এ নিয়ে সারা দেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

এসময় জাতীয় গ্রিড বিপর্যয় নিয়ে বিএনপির নেতাদের বক্তব্যকে ফালতু কথা বলে মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, এসব বাজে কথা। রাজনৈতিক লোকদের টেকনিক্যাল বিষয়ে কথা বলা ঠিক না। তাদের সময় বিদ্যুতের কোনো উৎপাদন ছিল না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। নসরুল হামিদ বিপু বলেন, বিএনপি বলেছে, এ ধরনের ঘটনা আবার ঘটবে। এ বিষয়ে তদন্ত হওয়া উচিত যে তাদের কোনো নাশকতার পরিকল্পনা আছে কিনা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ