স্টাফ রিপোর্টার – বাড়ছে না বিদ্যুতের দাম। বিদ্যুতের পাইকারি দাম আগেরটাই বহাল রাখা হয়েছে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড – পিডিবির প্রস্তাবনা অনুযায়ী বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কথা ছিল। কিন্তু তা বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। বৃহস্পতিবার ১২টার দিকে বিইআরসি আয়োজিত বিদ্যুতের পাইকারি দাম ঘোষণা সংক্রান্ত অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির চেয়ারম্যান মো. আব্দুল জালিল এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা ছিল। আমরা এর মধ্যে অনেকবার বসেছি। আমরা বিচার-বিশ্লেষণ করেছি। শেষদিনে আমরা ঘোষণা করলাম।
এসময় এক প্রশ্নের জবাবে বিইআরসি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বলেন, পিডিবি যে প্রস্তাবনা দিয়েছে তা অস্পষ্ট ছিল। তবে আজকের সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনো আপত্তি থাকলে তারা রিভিউ আবেদন করতে পারে। সেক্ষেত্রে তাদেরও নিজেদের সব তথ্য স্পষ্ট ও নতুন করে উত্থাপন করে রিভিউ আবেদন করতে হবে। তারপর আইন যা বলে আমরা সেটিই করবো। এ নিয়ে আরেকটি গণশুনানিও হতে পারে বা সরাসরি বিবেচনায়ও আনা যেতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে বিইআরসির সেক্রেটারি ব্যারিস্টার খলিলুর রহমান খানসহ অন্যান্য সদস্য ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা যুক্ত ছিলেন। এর আগে গত ১৮ মে পিডিবির বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি করে কমিশন। নিয়ম অনুযায়ী গণশুনানির পর ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নিয়ম রয়েছে। গণশুনানির ৯০ কার্যদিবসের সময়সীমা শেষ হবে ১৪ অক্টোবর। সে কারণে ১৩ অক্টোর ঘোষণা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তারা।
গণশুনানিতে প্রায় ৬৬ শতাংশ দাম বাড়ানোর আবেদন করে পিডিবি। সেসময় ভর্তুকি ছাড়া ৫৮ শতাংশ দাম বাড়ানো এবং ভর্তুকি দিলে দাম না বাড়ানোর সুপারিশ করে বিইআরসি গঠিত কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি। কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে কোনো প্রস্তাবই বিবেচনায় আনেনি বিইআরসি।
সবশেষ ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিদ্যুতের পাইকারি দর ইউনিট প্রতি ৫ টাকা ১৭ পয়সা নির্ধারণ করে বিইআরসি। নতুন করে দাম না বাড়ানোয় আগের দামই থাকছে। সরকার বর্তমানে পাইকারি রেটে ইউনিট প্রতি ৩ টাকা ৩৯ পয়সা ভর্তুকি দিচ্ছে। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি আর বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনায় বিদ্যুতের দাম নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে স্বস্তির এই খবর দিল বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন।