Search
Close this search box.

মহাসড়কে টেম্পু-ভটভটির আলাদা লেন হচ্ছে –স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি বলেছেন, মহাসড়কে দুর্ঘটনা কমাতে টেম্পু-ভটভটির জন্য আলাদা লেন তৈরি করা হচ্ছে, যেন হাইওয়ে ফ্রি থাকে। কাজটি করতে পারলে অনেক দুর্ঘটনা থেকে আমরা নিস্তার পাবো।

মঙ্গলবার জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন আয়োজিত ‘সোশ্যাল ক্রসফায়ার’ এর প্রিমিয়ার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, কোনো দুর্ঘটনা হলেই আমরা বলি চালককে ধরো। সেই দুর্ঘটনার নায়ক। চালককে না পেলে গাড়ি পুড়িয়ে দেই। এটি সাধারণ নিয়মের মধ্যে পড়ে গেছে। উত্তেজিত জনতা সেটাই করি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী অনেকবার বলেছেন, চালক সব সময় দায়ী নয়। ইচ্ছাকৃতভাবে পথচারী কেউ রাস্তা পার হতে চান কিংবা মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে রাস্তা পার হন সে কারণে দায়ী পথচারী। মহাসড়কে টেম্পু-ভটভটিও দায়ী সড়ক দুর্ঘটনার জন্য।

আসাদুজ্জামান খান এমপি বলেন, অত্যাধুনিক তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) গঠন করেছি। হাইওয়ে নিয়ন্ত্রণের জন্য হাইওয়ে পুলিশ গঠন করেছি। প্রশ্ন আসতে পারে হাইওয়ে পুলিশ কী করবে? আমরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ক্যামেরার আওতায় নিয়ে এসেছি। এরপর সবগুলো হাইওয়ে ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণে আনা হবে। যেন যেকোনো দুর্ঘটনা ক্যামেরার আওতায় চলে আসে।

তিনি বলেন, বাসচালক কিংবা বাস মালিক কেউ ইচ্ছাকৃত সড়ক দুর্ঘটনা চান না। কারণ দুর্ঘটনা হলে চালকের প্রাণ যেতে পারে। আমাদের দেশে যত প্রাণঘাতী রোগ রয়েছে তার চেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা হয় প্রতিনিয়ত এবং এতে আহত ও নিহত হনও বেশি।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান বলেন, কোনো দুর্ঘটনায় মামলার তদন্ত পুলিশকে দিয়ে না করিয়ে সড়ক নিয়ে কাজ করেন এমন অভিজ্ঞদের দিয়ে তদন্ত করলে প্রকৃত ঘটনা উন্মোচন হবে। এতে যদি আমাদের চালক কিংবা পরিবহন শ্রমিক জড়িত থাকেন তাদের আইনের আওতায় আনা হলে আমাদের কিছুই বলার থাকবে না। ওভারটেকিং করব না, সাবধানে সবাই গাড়ি চালাব।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান, বিশেষ অতিথি হিসেবে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী।

আরও উপস্থিত ছিলেন- এক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (বুয়েট) সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. শামসুল হক, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার ও এক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (বুয়েট) সহকারী অধ্যাপক কাজী সাইফুন নেওয়াজ।

সম্প্রতি কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে অবসরে পাঠানো হয়েছে এবং আরও কয়েকজনের তালিকা করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনারা আগেও দেখেছেন যারা পুলিশ সার্ভিসে আর থাকবে না তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকতে পারে। তবে (সে বিষয়ে) আমার জানা নেই।

তিনি বলেন, পুলিশ সদরদপ্তর থেকে নিয়মিতভাবেই এমন তালিকা করা হয়ে থাকে। যাদের ২৫ বছর বাহিনীতে সার্ভিস হয়েছে বা পুলিশ সদরদপ্তর মনে করে তাদের আর প্রয়োজন নেই, সেই জন্যই এটা (অবসরে পাঠানো) করা হয়ে থাকে।

শিশুদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেওয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজ করছে। তবে এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন মনে করছে এতে ভোগান্তি বাড়বে।- এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় কী মনে করছে? জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য। সরকার মনে করে কোনো শিশু জন্মগ্রহণ করলো তখন থেকেই সে এনআইডি প্রাপ্য। যে নম্বরটি তাকে দেওয়া হবে, মৃত্যু পর্যন্ত ওই নম্বরটি তার থাকবে।

আসাদুজ্জামান খান আরও বলেন, মানুষ প্রাপ্তবয়স্ক হলে তখন ভোটার তালিকা তৈরি করার জন্য শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন যা বলছে, সেটি তাদের নিজস্ব বক্তব্য। সরকার মনে করে এনআইডি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে থাকা উচিত।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ