স্টাফ রিপোর্টার- জনগণ সঙ্গে থাকলে কোনকিছুই আর বাধ সাধে না বলে মন্তব্য করেছন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি।
শনিবার ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২২’ উপলক্ষ্যে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে আমরা যখন কঠিন সমস্যার মুখে পড়েছিলাম, তখন প্রধানমন্ত্রী সর্বস্তরের জনতাকে আহ্বান করেছিলেন ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য। সে সময় সব শ্রেণী-পেশার মানুষ জঙ্গিদের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে।
সে সময় আমরা অভূতপূর্ব সফলতা দেখেছিলাম, সব শ্রেণী-পেশার মানুষ যার যার জায়গা থেকে জঙ্গির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। জনগণ যখন পাশে থাকে কোনো কিছুই আর অসাধ্য থাকেনা।
কমিউনিটি পুলিশিংয়ের কার্যক্রমের বিষয় তুলে ধরে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে সমাজকে আরো কিভাবে সুন্দর-পরিচ্ছন্ন বানানো যায়, সেটার উদাহরণ এখন সর্বত্র। সমাজে এখনও কিছু চ্যালেঞ্জ আমাদের রয়েছে, বাল্য বিবাহ-ইভটিজিং অনেক কমে গিয়েছে। কিন্তু মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে ভবিষ্যৎ প্রজনজন্মকে আমরা বাঁচাতে পারবো না। সেখানে আমাদের কাজ করতে হবে।
করোনা মহামারির জন্য শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার জন্য যুব সমাজের কাজ ছিল না, সে সময় কিশোর গ্যাং তৈরি হয়েছিলো মোড়ে মোড়ে। সেটার একটা কু প্রভাব এখনো রয়েছে। সেখানেও আমাদের কাজ করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, আগে গ্রামে একটা বিচার ছিলো, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের লক্ষ্যটাও ঠিক ওরকমই। আমরা নিজেরা যদি নিজের সমস্যাটুকু সমাধান করতে পারি ক্রাইম অনেকটা কমে যাবে। আর পুলিশতো সবসময়ই রয়েছে।
কমিউনিটি পুলিশিংয়ের কাজ হলো সমাজকে সহযোগিতা করা। এখানে আমরা শতভাগ সফল হয়েছি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান আরও বলেন, বিএনপি সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় দেশে আবারও নৈরাজ্য, হত্যা ও জঙ্গি উত্থানের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। সরকার পতনে বিএনপির স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে উল্লেখ করে তিনি নেতাকর্মীদের সজাগ থাকতে বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল আরও বলেন, বিএনপির জামাইদের খায়েশ হয়েছে আগামী ১০ ডিসেম্বর ক্ষমতা দখল করবে। ক্ষমতা দখল করে কে কোন পদে থাকবে সবই তারা নিজেরা নাকি ঠিকঠাক করেছে। ষড়যন্ত্রের নীলনকশায় মত্ত রয়েছে তারা।
তিনি বলেন, দেশ যখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে তখন আবারও নীলনকশা তৈরি করে দেশকে পিছনের দিকে টেনে ধরার চেষ্টা করছে জামায়াত-বিএনপি শক্তি। তাদের প্রতিহত করতে হবে। বিএনপি-জামায়াতের সময় প্রায় একুশ হাজার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী হত্যা এবং মামলা-হামলার শিকার হয়েছে।