স্টাফ রিপোর্টার- জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, তরুণরাই আগামী দিনের নেতা। মানসম্মত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কাজে লাগিয়েই তারা উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের দক্ষ কারিগরে পরিণত হবে।
শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ব্রিটিশ কাউন্সিলের সহযোগিতায় পিয়ারসন এডেক্সেল আয়োজিত ‘হাই অ্যাচিভারস অ্যাওয়ার্ড ২০২২’- এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এ কথা বলেন।
এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারসন ডিকসন, ব্রিটিশ কাউন্সিলের রিজিওনাল এক্সামস ডিরেক্টর হ্যারিয়েট গার্ডনার, পিয়ারসন স্কুল কোয়ালিফিকেশনস এর ভাইস প্রেসিডেন্ট এমা হোয়েল এবং ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডিরেক্টর অপারেশনস অ্যাক্সামিনেশনস জুনায়েদ আহমেদ বক্তব্য দেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদেশে কার্যকর ও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। নারী শিক্ষার প্রসারে তিনি অভিভাবকদের স্মার্টফোনের মাধ্যমে আর্থিক সহযোগিতা দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, বিশ্ব চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দিকে এগোচ্ছে। এদেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা প্রকৃত শিক্ষা অর্জন করে যোগ্যতা ও দক্ষতার সাথে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত বিশ্বের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এ সময় স্পিকার পিয়ারসন কোয়ালিফিকেশনে অনবদ্য ফলাফল অর্জনের জন্য মনোনীতদের পুরস্কার দেন। সাড়া বিশ্বে মানসম্মত শিক্ষা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য তিনি ব্রিটিশ কাউন্সিল এবং পিয়ারসনকে ধন্যবাদ জানান।
স্পিকার বলেন, ‘তরুন কিশোরী স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও বাল্যবিবাহ রোধে মেয়েদের উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ জরুরি। এক্ষেত্রে, মেয়েদের উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করার জন্য অভিভাবক, শিক্ষকসহ সমাজের সকলকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
স্পিকার বলেন, বাল্যবিবাহের সাথে মেয়েদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি সরাসরি সম্পৃক্ত। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ ও মেয়েদের শিক্ষার সুযোগ বিস্তৃত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যাপক কার্যক্রম সারা দেশে পরিচালনা করছেন। আজ মেয়েরা উপবৃত্তি পাচ্ছেন, যা তাদের শিক্ষাক্ষেত্রে উৎসাহিত করছে। মেয়েদের উচ্চশিক্ষায় উৎসাহিত করতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। মায়েদের কাছে মেয়েদের উপবৃত্তির টাকা মোবাইলের মাধ্যমে পৌঁছে যাচ্ছে। আধুনিকতার ছোয়াকে কাজে লাগিয়ে দেশকে সমৃদ্ধ করার কাজে মেনানিবেশ করার দাগিদ দেন তিনি।
নাইনথ একাডেমিক অ্যাওয়ার্ড সেরেমনির এ অনুষ্ঠানে ২০২১ ও ২০২২ সালের পরীক্ষায় অসাধারণ নৈপুণ্য অর্জনের জন্য ৭৭৯ জনকে পুরস্কার দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে সারাদেশের বিভিন্ন ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলের পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী, শিক্ষক, প্রিন্সিপাল, গার্জিয়ানরা উপস্থিত ছিলেন।