স্টাফ রিপোর্টার- জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি এবং বনানীতে জাতীয় নেতাদের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় বঙ্গবন্ধুর প্রতি সম্মান জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টে নিহত শহীদ এবং ৩ নভেম্বরে কারাগারে নির্মমভাবে নিহত বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহকর্মী সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ ও এম মনসুর আলীর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রথমে সরকারপ্রধান হিসেবে একা, পরে দলীয় প্রধান হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন শেখ হাসিনা। সেখানে দোয়া ও মোনাজাত করে বনানীর উদ্দেশে ধানমন্ডি ত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর দ্বিতীয় কলঙ্কজনক অধ্যায় এ দিনটি। ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর তিন মাসেরও কম সময়ের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানী ও চার জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, এএইচএম কামারুজ্জামান এবং ক্যাপ্টেন মনসুর আলীকে এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এর আগে ১৫ আগস্টের পর এই চার জাতীয় নেতাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানী এ চার জাতীয় নেতাকে যথাযথ শ্রদ্ধা প্রদর্শনের মাধ্যমে দেশের ইতিহাসের অন্যতম বর্বরোচিত এই কালো অধ্যায়টি স্মরণ করছে জাতি। আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠনের উদ্যোগে সারা দেশে পালিত হচ্ছে শোকাবহ এ দিনটি।
প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর ১৫ আগস্ট এবং জেল হত্যা দিবসের শহীদদের সমাধিতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগসহ বিভিন্ন সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা জানান।
একই সময়ে রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধুর চার সহকর্মীর আরেকজন এ এইচ এম কামরুজ্জামানের কবরে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। এর আগে, রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ধানমন্ডিতেও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগসহ বিভিন্ন সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা জানান।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর ৩ নভেম্বর কারাগরে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ চার সহকর্মী সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে কারাগারে হত্যা করা হয়। রাষ্ট্রের হেফাজতে জেলখানায় জাতীয় চার নেতা হত্যার দিনটি ‘জেল হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়।