স্টাফ রিপোর্টার – আইএমএফের শর্ত মেনে নিলে রির্জাভে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে দাবি করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী। তিনি বলেন, দেশের স্বার্থ মাথায় রেখে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফের) শর্তগুলো ফলোআপ করা হচ্ছে। এ নিয়ে নির্দেশনাও রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। রংপুরে লেক ভিউ পার্ক সিটি এলাকায় শনিবার সকালে সংবাদকর্মীদের এসব কথা জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, দেশের স্বার্থ মাথায় রেখে আইএমএফর শর্ত অর্থ মন্ত্রণালয় ফলোআপ করছে। আইএমএফ টাকা না দিলে আমরা রসাতলে যাব, তা কিন্তু নয়। যদি প্রয়োজন পড়ে সেজন্য একটা সিকিউরিটি নিয়ে রাখা। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঢাকায় সফররত প্রতিনিধি দলের প্রতিবেদনের ওপরই বাংলাদেশের ৪৫০ কোটি (৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন) ডলার ঋণ পাওয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে। ঋণ পেতে সংস্থাটির পক্ষ থেকে নানা পরামর্শ ও শর্ত দেওয়া হয়েছে। তবে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ঋণ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় সংস্কার, মাত্রাতিরিক্ত খেলাপি ঋণ হ্রাস, রিজার্ভ গণনা পদ্ধতি, ঋণে সুদহারের সীমা বাতিল, একক ফরেন এক্সচেঞ্জ রেট এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে ভর্তুকি কমানোর শর্তে অনমনীয় মনোভাব দেখিয়েছেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন সামনে দুর্ভিক্ষ হতে পারে। এ কথাগুলোর পাশাপাশি তিনি বলেছেন, আমরা যেন এক ইঞ্চি জমিও ফাঁকা না রাখি। অর্থ্যাৎ তিনি যে ম্যাসেজটা দিতে চেয়েছে সেটা হলো আমরা যেন সতর্ক হই এবং সর্বোচ্চ ফলনের চেষ্টা করি। একইভাবে আইএমএফের ব্যাপারটাও তাই। আশা করি আইএমএফের সঙ্গে কোনও সমস্যা হবে না।
নিত্যপণ্যের দাম নিয়েও মন্ত্রী ফের অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট তৈরি করে বাজারকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা করছে। সে জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সরকারের অন্যান্য দপ্তরগুলো সজাগ রয়েছে। পোশাক খাতে এই মুহূর্তে ডাউনওয়ার্ক চলছে উল্লেখ করে টিপু মুনশী বলেন, যেটা গত দু-তিন মাস আগে সর্বোচ্চ পিকআপে ছিল। করোনার প্রভাব, ইউক্রেন-রাশিয়া ইস্যু এগুলোর জন্য মানুষ অর্থনৈতিকভাবে খুব চাপে পড়েছে। আশাকরি জানুয়ারির পর থেকে ধীরগতি কভার হয়ে যাবে। এ সময় নব-নির্বাচিত রংপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোসাদ্দেক হোসেন বাবলুসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।