Search
Close this search box.

হামলা-মামলা দিয়ে লাভ হবে না, জনগণ ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে – মির্জা ফখরুল

হামলা-মামলা দিয়ে লাভ হবে না, জনগণ ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে - মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার – বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, হামলা-মামলা দিয়ে অতীতে লাভ হয়নি। এখনো লাভ হবে না। জনগণ ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। আন্দোলন-সংগ্রাম ঠেকাতে গত ১৫ বছর ধরে ক্ষমতাসীনরা বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা-মামলা চালিয়ে যাচ্ছে দাবি করেন তিনি। রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে রবিবার নাগরিক ঐক্য আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন ফখরুল।

ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আজকে ১৫ বছর ধরে এগুলো করেছেন। কই বিএনপিকে তো দমিত করে দিতে পারেননি, স্তিমিত করে দিতে পারেননি। দেশের ক্ষমতায় পরিবর্তন আনতে সব রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ফখরুল আরও বলেন, আমাদের লড়তে হবে দেশের স্বার্থে। পরিবর্তন আনুন, এ দেশের মানুষকে বাঁচতে দিন। এখন এটাই হচ্ছে আমাদের লক্ষ্য।

ক্ষমতাসীন দলের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, তারা বুঝতে পারছে না যে জনগণের পিঠ কিন্তু দেয়ালে ঠেকে গেছে। এখন জনগণ ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সাম্প্রতিক বিভিন্ন বক্তব্যের ব্যাপারে ইঙ্গিত করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কত কথা বলেছেন, হাঁটু ভাঙা, মাজা ভাঙা, অনেক কিছু বলেছেন। কথাগুলো ভালো লাগবে না, কিন্তু তারা বলেছে। তাই যদি হয়, তাহলে আজকে কেন এত ঘাবড়ে যাচ্ছেন? এত আশঙ্কা কেন? এখন বলছেন পালাব না, আমরা জেলে যাব। এখন জেলে যাওয়ার কথা বলতে শুরু করেছেন।

ক্ষমতাসীন দলের দেশের অবস্থা বোঝা উচিত ছিল মন্তব্য করে ফখরুল আরও বলেন, এত দিনের রাজনৈতিক দল। আমরাও তো আশা করেছিলাম যে, তারা জনগণের চোখের ভাষাটা বুঝতে পারবে। তাদের কথাগুলো বুঝতে পারবে। আবদ্ধ জায়াগা থেকে বের হয়ে আসেন। সাধারণ মানুষের কাছে যান। তাদের সঙ্গে কথা বলেন। তারা কেমন আছেন।

বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা-মামলার ফিরিস্তি তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা অনেক নিপীড়িত-নির্যাতিত। আমাদের ৩৫ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। আজকেই দেখুন বরিশাল থেকে লঞ্চে করে ফিরছিল আমাদের মহিলা দলের নেত্রী সুলতানা (মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ)। সে নেমে বাড়ির দিকে রওনা দিয়েছে। পথিমধ্যে তাকে তুলে নিয়ে গেছে। আমরা এখনও পর্যন্ত জানি না কেন তুলেছে কী জন্য তুলেছে। আজ আপনাদের মাধ্যমে এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে তার মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। তা না-হলে এর দায়-দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে।

বরিশালের ঘটনা উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, শুধু সুলতানা নয়, ইশরাকের (বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসসেন) বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে। বরিশালে যাওয়ার পথে তার গাড়ির ওপর হামলা হয়। গাড়ি-টারি ভেঙে দিয়েছে। উল্টো তাকে এক নম্বর আসামি করে ১৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। একইভাবে ভোলা বিএনপি সভাপতি নিজের লঞ্চ করে নেতাকর্মীদের নিয়ে যখন আসছিল, তখন নদীর পাড় থেকে গুলি করেছে, স্পিডবোটে এসে মারধর করেছে। লঞ্চ ভেঙে দিয়েছে। উল্টো ১১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। প্রত্যেকটা সমাবেশে এ ধরনের ঘটনায় মামলা দিয়েছে।

দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ফের গায়েবি মামলা দেওয়া হচ্ছে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, সাভারে কোনো ঘটনাই ঘটেনি। মিছিল ছিল না, কিছুই ছিল না। সেখানেও ডা. সালাহউদ্দিন সাহেবকে (ঢাকা জেলা বিএনপি সভাপতি) এক নম্বর আসামি করে প্রায় দেড়শজনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। অর্থাৎ প্রসেস হেজ সার্টেড (প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে) যে, আন্দোলনকে কী করে হামলা, মামলা দিয়ে দমননীতি চালিয়ে বন্ধ করা যায়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ