আদনান হাবীব-গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের টঙ্গী থেকে ঢাকার উত্তরার হাউসবিল্ডিং পর্যন্ত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের ফ্লাইওভারের দুটি লেন খুলে দেওয়া হয়েছে।
রবিবার সকালে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিআরটি প্রকল্পের হাউজ বিল্ডিং- টঙ্গী ফায়ার সার্ভিস অংশে ঢাকামুখী ২টি লেন উন্মুক্ত করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রিড়ামন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের (গাসিক) মেয়র আসাদুর রহমান কিরন, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাবেক গাসিক মেয়র অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, এই সড়কের এই দুটি লেন চালুর ফলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ঢাকামুখী যানবাহনের চাপ অনেক কমবে। এতে ফ্লাইওভারের বাকি কাজও বেগবান হবে।
আগামী বছরের ২০২৩ সালের মে থেকে জুনের মাঝামাঝি সময় বাস র্যাপিড ট্রানজিট বা বিআরটি প্রকল্পে ২০ দশমিক ৫০ কিলোমিটার সড়কটি চলাচলের উপযোগী হবে। এখন পর্যন্ত এই প্রকল্প্রের ৭৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ শেষ হয়েছে।
বিআরটিএ প্রকল্পের তথ্যমতে, বাস র্যাপিড ট্রানজিট বা বিআরটি প্রকল্পে ২০ দশমিক ৫০ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে উত্তরা থেকে টঙ্গীর চেরাগআলী পর্যন্ত সাড়ে চার কিলোমিটার এলিভেটেড বিআরটি লেন এবং বাকি ১৬ কিলোমিটার থাকবে সমতলে। এই প্রকল্পের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে ছয়টি ফ্লাইওভার। এর মধ্যে টঙ্গী থেকে হাউসবিল্ডিং পর্যন্ত ফ্লাইওভারের দুটি লেন রবিবার যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে দুই কিলোমিটারের বেশি সড়কে ঢাকামুখী যানবাহন অনেকটা নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে বলে মনে করছে বিআরটি সংশ্লিষ্টরা।
চলাতি বছরের ডিসেম্বর মাসে এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার সময় নির্ধারিত ছিল। তবে সেই সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হচ্ছে না। পুরো কাজ শেষ হতে আগামী বছর মার্চ লেগে যেতে পারে। এরপর বাস চলাচলের জন্য আরও ৩ মাস সময় লাগতে পারে। ফলে ২০২৩ সালের জুনে চালু হতে পারে বলে জানান বিআরটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ঠিকাদার কর্তৃপক্ষের দুটো দল চীন থেকে এসেছে। তাদের সঙ্গে আমরা মিটিং করেছি জানিয়ে তিনি বলেন, তারা আশ্বস্ত করেছেন। তাদের কাছে আমাদের মূল তিনটা চাওয়া। ফান্ডের যে ঘাটতি এটা পূরণ করতে হবে। লোকবলের ঘাটতি পূরণ করতে হবে। শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। তারা সব বিষয়ে একমত হয়েছেন।
২০ কিলোমিটার বিআরটি প্রকল্পেনর মধ্যে রয়েছে- এয়ারপোর্ট উড়াল সেতু, জসীমউদ্দিন উড়াল সেতু, হাউজবিল্ডিং থেকে স্টেশন পর্যন্ত নির্মিত উড়াল সেতু, টঙ্গীতে উড়াল সেতু অংশে নির্মাণাধীন স্টেশন, সমতলে নির্মাণাধীন স্টেশন (তারাগাছ স্টেশন), বিআরটি করিডোরের নির্বাচিত সড়কের অংশ, গাজীপুর চান্দনা চৌরাস্তা স্টেশন ও উড়াল সেতু, বিআরটি ডিপো (নলজানি, গাজীপুর)।
চলমান প্রকল্পটি চালু হলে এই রুটে চলাচলকারী জনগণের ভোগান্তি অনেকটা কমে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।