স্টাফ রিপোর্টার – ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলাদেশের মেধাসম্পদ আজ পৃথিবীব্যাপী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির সফলতার হাত ধরে প্রযুক্তিতে ৩২৪ বছর পিছিয়ে থাকা দেশ পৃথিবীর কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। মন্ত্রী ৫ম শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ডিজিটাল যুগের উপযোগী দক্ষ মানব সম্পদ তৈরিতে সরকারের পাশাপাশি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানসমূহকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
মন্ত্রী ঢাকায় চীনের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের ‘হুয়াওয়ে বাংলাদেশ নামে নলেজ শেয়ারিং সেন্টার’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো: খলিলুর রহমান, বিটিআরসি‘র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং এবং হুয়াওয়ে বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্যান জুনফেং বক্তৃতা করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, আইটিইউ ও ইউপিইউ-এর সদস্যপদ অর্জন, টিএন্ডটি বোর্ড গঠন, এবং বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বাংলাদেশের বীজ বপন করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সযত্নে সে বীজকে চারা গাছে এবং গত ১৪ বছরে তা বিরাট মহিরূহে রূপান্তর করেছেন। ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের এই অগ্রদূত বলেন, বাংলাদেশ পৃথিবীর প্রথম ডিজিটাল কর্মসূচি ঘোষণাকারী দেশ। ২০০৮ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত এই কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালের বাাংলাদেশ পৃথিবীকে দেখিয়ে দিয়েছে অতীতে তিনটি শিল্প বিপ্লব মিস করা জাতি শতশত বছরের পশ্চাদপদতা অতিক্রম করে হ্যানরি কিসিঞ্জারের তলাবিহীন ঝুড়ির অবজ্ঞাখ্যাত বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার বিস্ময়কর গল্প। মন্ত্রী দেশে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে এবং দক্ষ মানব সম্পদ তৈরিতে ঢাকায় হুয়াওয়ের নলেজ সেন্টার চালু দেশের জন্য অত্যন্ত গৌরবের বলে উল্লেখ করেনু। কম্পিউটারে বাংলা ভাষার এই উদ্ভাবক হুয়াওয়েকে ডিজিটাল প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও বিকাশের সেন্টার অব এক্সিলেন্স উল্লেখ করে বলেন, রিসার্স ও ডেভেলপমেন্টে হুয়াওয়ের অবদান ডিজিটাল প্রযুক্তিতে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি সুইজারল্যান্ডে বিশ্ব মেধাসত্ত্ব সংস্থা (ডব্লিউআইপিও) পরিদর্শনকালে প্রতিষ্ঠানটির সাথে অভিজ্ঞতা বিনিময়কালে অর্জিত ধারণা তুলে ধরে বলেন, সারা দুনিয়ায় প্যাটেন্ট রেজিস্ট্রেশনের জন্য যে আবেদন জমা পড়েছে তার প্রায় দেড় গুণ বেশি আবেদন হুয়াওয়ে একাই করেছে। মন্ত্রী বাংলাদেশে হুয়াওয়ের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য হুয়াওয়েকে ধন্যবাদ জানান।
বক্তারা ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশ এবং দক্ষমানব সম্পদ তৈরিতে হুয়াওয়ের্ এই উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এর আগে মন্ত্রী হুয়াওয়ের ‘হুয়াওয়ে বাংলাদেশ নামে নলেজ শেয়ারিং সেন্টার’ এর উদ্বোধন করেন।