স্টাফ রিপোর্টার – জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড পুরস্কার দিয়েছেন সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন-সিআরআইয়ের চেয়ারপার্সন এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। দেশ গঠনে এগিয়ে আসা তরুণদের মধ্যে ১০ বিজয়ীর হাতে পুরস্কার তুলে দিলেন।
সাভারের শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটে শনিবার বিকালে তিনি জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। সিআরআইয়ের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইয়াং বাংলার নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে তরুণদের হাতে ষষ্টবারের মতো এই পুরষ্কার তুলে দেয়া হয়।
জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সুচনা হয়। ইয়াং বাংলার পক্ষ থেকে এই পদকের জন্য মনোনীত শীর্ষ ২৮ সংগঠনের মধ্যে ১০ জন বিজয়ীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন সজীব ওয়াজেদ জয়। দেশ গঠনে এগিয়ে আসা তরুণদের নিয়ে ‘কানেক্টিং দ্য ডটস’ স্লোগান নিয়ে ইয়াং বাংলার নেটওয়ার্ক নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করেন সজীব ওয়াজেদ জয়। বর্তমানে ১ লাখের বেশি তরুণ, ১৫ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবী এবং পাঁচশর বেশি সংগঠন তারুণ্যের সবচাইতে বড় এই প্লাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত।
এরআগে শুক্রবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে এক পোস্ট দেন সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি লিখেছেন, ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি সাজানো নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের জন্য ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার তালিকা প্রস্তুত করেছিল বিএনপি-জাামায়াত সরকার। এমনকি খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীও দুই স্থানে ভোটার হন। চট্টগ্রাম-৪ ফটিকছড়ি এবং চট্টগ্রাম-৭ রাঙ্গুনিয়া দুই আসন থেকে ভোট করার জন্য মনোনয়ন তুলেছিল সে। এরপর তার ডাবল ভোটার হওয়ার তথ্য ফাঁস হয়ে পড়ে। নির্বাচন কমিশনের কর্তকর্তারা এই ঘটনাকে প্রতারণা ও বেআইনি বলে অভিহিত করেন।
প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা বলেন, ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারির পত্রিকার এক সংবাদে এই তথ্য জানা যায়। নির্বাচন কমিশনাররা বলেন, একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ পাঁচটি আসন থেকে নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অংশ নিতে পারেন। কিন্তু তিনি ভোটার হবেন যে কোনো একটি স্থানের। একজন ব্যক্তি দুই জায়গায় ভোটার হতে পারেন না। এটি সাংবিধানিকভাবে অবৈধ। এটি এক ধরণের প্রতারণা।
তিনি আরও লিখেছেন, বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীরা এভাবেই অনেকে একাধিক স্থানের ভোটার হয়েছেন এবং ভুয়া নাম-পরিচয় দিয়ে প্রায় ১ কোটি ২৩ লাখ ভোটার তালিকা তৈরি করে তারা। কারণ এই ভোটগুলো দলীয় ক্যাডারদের মাধ্যমে কাস্ট করে অবৈধভাবে বিএনপিকে ক্ষমতায় নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের। এজন্য রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমেদকে অসাংবিধানিকভাবে প্রধান উপদেষ্টার পদে বসায় তারা। এরপর খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের তালিকা অনুযায়ী নির্বাচন পরিচালনার জন্য দলীয় সমর্থনপুষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়।