Search
Close this search box.

খেলা হবে আর আমাদের কর্মীরা ললিপপ খাবে তা হবে না – ও. কাদের

খেলা হবে আর আমাদের কর্মীরা ললিপপ খাবে তা হবে না - ও. কাদের

স্টাফ রিপোর্টার – আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গত পরশু বিআরটিসি বাস মতিঝিলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা জানান দিয়েছে যে, আবার তারা ফিরে আসছে। খেলা হবে আর আমাদের কর্মীরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখবে আর ললিপপ খাবে তা হবে না। প্রত্যেক ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সতর্ক পাহারা দেবে সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে সারাদেশে ইউনিয়ন গ্রাম পাড়া-মহল্লায় পাহারা থাকবে।

শুক্রবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সেতুমন্ত্রী বলেন, আপনাদের সোহরাওয়াদী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান স্বাধীনতার ঘোষণাস্থল কিন্তু সেই জায়গা আপনাদের পছন্দ নয়। পাক হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছে সেই জায়গা আপনাদের পছন্দ নয়। ১০ ডিসেম্বর থেকেই কিন্তু ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যার শুরু হয়েছিল।

তিনি বলেন, আমরা বলেছি পরিবহণ ধর্মঘট হবে না। বিভিন্ন জায়গার সমাবেশে নেতারা অনুরোধ রেখেছেন। তবে সমাবেশের নামে যদি কোনো বিশৃঙ্খলা করা হয়, কোনো সহিংসতা করা হয়, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করা হয়, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সমুচিত জবাব দেবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগুন নিয়ে খেলা শুরু হয়ে গেছে। খেলা হবে আন্দোলনে, খেলা হবে নির্বাচনে, ডিসেম্বরে খেলা হবে।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা সমাবেশ করবেন সুশৃঙ্খলভাবে, মারামারি নয়। তবে আক্রমণ হলে আমরাও পাল্টা আক্রমণ করব কিনা সেটি সময়ই বলে দেবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে সারাদেশে ইউনিয়ন গ্রাম পাড়া-মহল্লায় পাহারা থাকবে। ছাত্রলীগের যৌথ বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নিয়ে ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এটাই কি ছাত্রলীগ, কোনো শৃঙ্খলা নেই! ছাত্রলীগ কর্মীদের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি বলেন, সব পোস্টার নামাও, স্লোগান বন্ধ।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে কাদের বলেন, এটাই কি ছাত্রলীগ! কোনো শৃঙ্খলা নেই! পোস্টার নামাতে বলছি, নামায় না!
কাদের বলেন, সব নেতা, তাহলে কর্মী কোথায়! এত নেতা স্টেজে, কর্মী কোথায়? এই ছাত্রলীগ আমার চাই না। শেখ হাসিনার ছাত্রলীগ, বঙ্গবন্ধুর ছাত্রলীগ, এই ছাত্রলীগ না। মুজিব কোট পরলেই মুজিব সৈনিক হওয়া যায় না। মুজিব সৈনিক হতে হলে মুজিবের আদর্শের সৈনিক হতে হবে। শেখ হাসিনার খাঁটি কর্মী হতে হবে। খাঁটি কর্মী বিশৃঙ্খলা করে না। সব নেতা হয়ে গেছে! এ সময় কমিটির সদস্য ছাড়া সবাইকে মঞ্চ ছেড়ে চলে যেতে বলেন তিনি।

কাদের বলেন, আজকে নানকের মতো, আপনাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত, প্রেসিডিয়াম, সাবেক মন্ত্রী, যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান, ছাত্রলীগের প্রাক্তণ সাধারণ সম্পাদক সময়ের অভাবে বক্তৃতা করতে পারেনি। আপনারা মাইক ধরলে ছাড়েন না।

তিনি আরও বলেন, এই ছাত্রলীগ আমরা চাই না। সুশৃঙ্খল করুন, সুসংগঠিত করুন। কথা শুনবে না, এই ছাত্রলীগ আমাদের দরকার নেই। অপকর্ম করবে এই ছাত্রলীগ দরকার নেই। দুর্নামের ধারা থেকে ছাত্রলীগকে সুনামের ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে এটাই আজকে অঙ্গীকার।

কারা নির্যাতিত নেতা, আমাদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বক্তৃতা দিতে পারেননি। আমন্ত্রিত অনেকেই বক্তৃতা দিতে পারেননি। তাহলে দাওয়াত দিলেন কেন? একটু একটু করে বলতে পারলো না! আপনারা দুজনে ১ ঘণ্টা শেষ করলেন। মনে নেই, আজ শুক্রবার! লেখকের না হয় মনে নেই, জয়ের কি মনে ছিল না! এটা কোন ছাত্রলীগ, বিস্ময় প্রকাশ করেন কাদের। কর্মীদের স্লোগানে বিরক্ত হয়ে তিনি বলেন, যার নামে স্লোগান হবে তাকে পদ দেওয়া হবে না।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নজরুল ইসলাম বাবু। বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহম্মদ মোহাম্মদ মান্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, কথা শুনবে না, নিয়মনীতি মানবে না এমন ছাত্রলীগ কর্মী আমাদের দরকার নেই। অপকর্ম করবে এই ছাত্রলীগ দরকার নেই। দুর্নামের ধারা থেকে ছাত্রলীগকে সুনামের ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে এটাই আজকে অঙ্গীকার। সুনামের ধারায় ফিরিয়ে আনতে ছাত্রলীগ নেতাদের কাজ করতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ১০ ডিসেম্বরে ঘিরে বিএনপি কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করার চেষ্টা করলে কঠোর জবাব দেওয়া হবে। ১০ ডিসেম্বর ঘিরে বিএনপি যেন কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে না পারে সেজন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সতর্ক পাহারা দেবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ