স্টাফ রিপোর্টার- রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির গণমাবেশের অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। তবে নয়াপল্টনেই গণসমাবেশ করার বিষয়ে অটল আছে বিএনপি। এ বিষয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, ‘আমরা আশা করি যেখানে অনুমতি দেওয়া হয়েছে সেখানেই তারা (বিএনপি) সমাবেশ করবে। এখনো সময় আছে, অপেক্ষা করি।’
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত সদস্যের কৃতি সন্তানদের মেধাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আইজিপি।
আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, ১০ ডিসেম্বর বিএনপির গণসমাবেশে নাশকতাসহ সবকিছু বিবেচনায় রেখে নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।
বিএনপির গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে জঙ্গি হামলা করতে পারে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ‘নাশকতার সুনির্দিষ্ট কোনো খবর আমরা এখনো পাইনি। তবে আমরা নাশকতাসহ সব বিষয় বিবেচনায় রেখে নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করব।
বিএনপি বলছে পুলিশকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে- এ বিষয়ে আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘পুলিশ দায়িত্ব পালন করে থাকে আইনের ভিত্তিতে, নির্দিষ্ট কাঠামোতে। কীভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে, সে বিষয়ে আমরা ট্রেনিং নিয়ে থাকি। রাজনৈতিক ভিত্তিতে নয়, আইনের মধ্যে থেকেই পুলিশ কাজ করছে ।
বিশেষ অভিযানের নামে দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, একাধিকবারই বিএনপির পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, রাজনৈতিক ভিত্তিতে নয়, আইনের মধ্যে থেকে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ। নিয়মের বাইরে কাউকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না।
ছিনতাই হওয়া জঙ্গিদের এখনো খোঁজ মেলেনি। এমন অবস্থার মধ্যে ঢাকায় বিএনপি’র মতো একটি বড় রাজনৈতিক দলের সমাবেশ হচ্ছে।
বিএনপির প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার গায়েবি ও মিথ্যা মামলা এবং বিশেষ অভিযানের নামে গ্রেফতারের অভিযোগের বিষয়ে আইজিপি বলেন, পলাতক জঙ্গিদের ধরতে অভিযানের কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে। আর ওনারা ( বিএনপি) যে অভিযোগ দিয়েছেন এগুলো খতিয়ে দেখছি।
রাজারবাগ পুলিশ অডিটরিয়ামে পুলিশে কর্মরত সদস্যদের কৃতি সন্তানদের মেধাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন পুলিশ প্রধান। পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত আইজিপি কামরুল আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের উর্ধতন কর্মকর্তা ও পুলিশ পরিবারের সদস্য ও সন্তানরা। পুলিশ প্রধান কৃতি সন্তানদের হাতে ক্রেষ্ট ও সনদপত্র তুলে দেন।