বিএনপির দুইটা গুণ আছে – ভোট চুরি আর মানুষ খুন ॥ আওয়ামী লীগ শান্তিতে বিশ্বাস করে ॥ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে জনগণ শান্তিতে থাকে ॥ সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ছাড়া বিএনপি কিছুই দিতে পারে না ॥ কানায় কানায় পূর্ণ পলোগ্রাউন্ড ॥ বিএনপি ভোট চুরির মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছিল বলে তারা বেশি দিন ক্ষমতায় টিকতে পারেনি
মিথুন আশরাফ – প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেছেন, আমরা উন্নয়ন করি, আর বিএনপি মানুষ খুন করে। এই চট্টগ্রামে বিএনপি বারবার বোমা ও গ্রেনেড মেরেছে। বিএনপি মানুষের শান্তি চায় না। রবিবার চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডের জনসভায় এমন কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
জনসভায় ভাষণের শুরুতেই চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দলীয় নেতাকর্মী ও সর্বসাধারণের উদ্দেশে তিনি বলেন, অনরা কেএন আছন, গম আছন নি (আপনারা কেমন আছেন, ভালো আছেন?)।
প্রধানমন্ত্রী বেলা ৩ টার কিছু পড়ে পলোগ্রাউন্ডে পৌঁছান। এসময় ফুল ও করতালির মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনাকে বরণ করে নেন দলের নেতাকর্মীরা। জনসভায় ভাষনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ারা পারে মানুষ হত্যা করতে। আওয়ামী লীগ শান্তিতে বিশ্বাস করে। তাই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে জনগণ শান্তিতে থাকে। বিএনপির দুইটা গুণ আছে – ভোট চুরি আর মানুষ খুন। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ছাড়া বিএনপি কিছুই দিতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
ভোট চোরদের বাংলাদেশের মানুষ মেনে নেয় না বলে বিএনপিকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি ভোট চুরির মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছিল বলে তারা বেশি দিন ক্ষমতায় টিকতে পারেনি বলে মন্তব্য করেন সরকারপ্রধান।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আমাদের মুক্তি বাহিনী ও মিত্র বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল। আত্মসমর্পণের আগে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বুদ্ধিজীবী হত্যা শুরু করে। ১০ ডিসেম্বর ইত্তেফাকের সাংবাদিক সিরাজ উদ্দিন হোসেনকে তুলে নিয়ে যায়। এ রকম বহু জনকে তারা তুলে নিয়ে যায়। এই ১০ ডিসেম্বর থেকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বুদ্ধিজীবী হত্যা শুরু করেছিল। বাংলাদেশে আত্মসমর্পণ করতে হবে জেনে, এই দেশ যেন সামনে এগিয়ে চলতে না পারে সে কথা মাথায় রেখেই তারা এ ঘটনা ঘটায়।
তিনি বলেন, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, সেই ১০ ডিসেম্বর বিএনপির খুব প্রিয় একটা তারিখ। বোধ হয় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পদলেহনের দোসর ছিল বলেই ১০ ডিসেম্বর তারা ঢাকা শহর নাকি দখল করবে। আর আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করবে। আমি তাদের বলে দিতে চাই, খালেদা জিয়া ৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি জনগণের ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসেছিল। আর ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসেছিল বলেই তাকে বাংলাদেশের মানুষ মেনে নেয়নি। সারা বাংলাদেশ ফুঁসে উঠেছিল। জনতার মঞ্চ করেছিলাম আমরা। খালেদা জিয়া বাধ্য হয়েছিল পদত্যাগ করতে। দেড় মাসও যায়নি, খালেদা জিয়া পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিল। সে কথা বিএনপির মনে রাখা উচিত। জনগণের ভোট যদি কেউ চুরি করে বাংলাদেশের মানুষ তা মেনে নেয় না। ওরা তা ভুলে গেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের ভোট কেউ চুরি করলে বাংলাদেশের মানুষ তা মেনে নেয় না। ওরা ভোটে যেতে চায় না। কারণ জিয়াউর রহমান জাতির পিতাকে হত্যার মাধ্যমে অবৈধ পন্থায় ক্ষমতায় এসেছিল। গণতান্ত্রিক ধারা তাদের পছন্দ না। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকলে দেশের উন্নতি হয়। বাংলাদেশ আজ উন্নতি হচ্ছে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকার কারণে।
জিয়াউর রহমান একটি ভাঙা সুটকেস আর ছেঁড়া গেঞ্জি রেখে গিয়েছিলেন, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে হাওয়া ভবন খুলে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি করেছে বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া আজ জেলে কেন। এতিমের নামে টাকা এনে নিজে আত্মসাৎ করেছে। জিয়া ট্রাস্টের টাকা চুরি করেছে বলেই সাাজাপ্রাপ্ত আসামি।
শেখ হাসিনা বলেন, খালেদার ছেলে একটা টাকা চুরি করেছিল, সিঙ্গাপুরে মারা গেছে। টাকা পাচার করেছিল, আমরা সেই টাকার কিছু ফিরিয়ে এনেছি। আরেকজন কুলাঙ্গার বানিয়ে রেখে গেছে জিয়াউর রহমান। লন্ডনে বসে আছে। সে লন্ডনে কেন আছে। ২০০৭ সালে মুচলেকা দিয়ে পালিয়েছিল। সেখানে রাজার হালে থাকে আর দেশে যত নাশকতার কাজ করে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। বিমানবাহিনী-সেনাবাহিনীর হাজার হাজার অফিসারকে হত্যা করেছে। আওয়ামী লীগের মৌলবি সৈয়দকে তুলে নিয়ে দিনের পর দিন নির্যাতন করে হত্যা করে। এ রকম আওয়ামী লীগের বহু নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। ঠিক একইভাবে খালেদা জিয়াও তার আমলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে। অনেক লাশ গুম করেছে। আমি তাদের সবার আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
তিনি আরও বলেন, খুব বেশিদিন আগের কথা নয়, ২০০১ সালের নির্বাচনের পর এই চট্টগ্রামের হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান কেউই তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি। সারা দেশেই এই তাণ্ডব চালিয়েছিল বিএনপি-জামায়াত জোট। তারা সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বেশি কিছু দিতে পারে না। এই চট্টগ্রামে বিএনপি বারবার বোমা ও গ্রেনেড মেরেছে। বিএনপি মানুষের শান্তি চায় না।
সরকার প্রধান বলেন, বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের অধিকার আছে, এই আইন জাতির পিতা করে গেছেন। কিন্তু বিএনপি এই আইন ও অধিকার বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেয়নি। জিয়ার জন্ম কলকাতায় আর পড়াশোনা করেছে করাচিতে। এরপর সেনাবাহিনীতে আসে। আমরা সেই সমুদ্র জয় করেছি। আজ সেগুলো আমাদের কাজে লাগছে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করে। আওয়ামী লীগ এ দেশের স্বাধীনতা এনেছে। তিনি বলেন, এই চট্টগ্রামে এমন কোনো প্রতিষ্ঠান নেই যা আমরা তৈরি করে দেইনি। প্রত্যেকটা উপজেলায় সরকার কলেজ-স্কুল আমরা করে দিয়েছি; আমাদের ছেলে-মেয়েরা লেখা-পড়া শিখবে। মানুষের মতো মানুষ হবে। তারা বিএনপি-জামায়াতের মতো খুনী, দুর্নীতিবাজ, লুটেরা হবে না। তারা সত্যিকার অর্থে দেশপ্রেমী নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সমাবেশ মঞ্চে থাকেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিমসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।
চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠ থেকে ২৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ছাড়াও আরও ছয়টি প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। এসব প্রকল্পের মোট ব্যয় ৩৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি। এসব প্রকল্প চট্টগ্রামবাসীর জন্য উপহার বলে মন্তব্য করেন সরকারপ্রধান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা ঘিরে মিছিলের নগরীতে রূপ নিয়েছে চট্টগ্রাম। স্লোগানে স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠেছে বন্দরনগরী। নেতাকর্মীদের গায়ে ছবি সম্বলিত নানা রঙের টি-শার্টে পুরো জনসভাস্থল রঙিন হয়ে ওঠেছে। এছাড়া পলোগ্রাউন্ড মাঠের আশপাশ ছেয়ে গেছে ব্যানার আর পোস্টারে।
আওয়ামী লীগের জনসভা ঘিরে এদিন সকাল থেকেই বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে চট্টগ্রামের বিভিন্ন সংসদীয় এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা জনসভাস্থলের দিকে আসতে থাকেন। আর চট্টগ্রামের বাইরের উপজেলা থেকে বাস-ট্রাকে করে নগরীতে প্রবেশ করেন নেতাকর্মীরা। এরপর হেঁটে মিছিল নিয়ে তারা জনসভাস্থলে যান। পুরো নগরীতে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
জনসভায় যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ও বিশৃঙ্খলা এড়াতে আগে থেকেই স্থানীয় সংসদ সদস্যের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে মিছিল আনার সিদ্ধান্ত দেয় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।
চট্টগ্রাম নগর উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভার সভাপতিত্ব করছেন নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী। সভার শুরুতে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করার জন্য নাম প্রস্তাব করেন। তা সমর্থন করেন উত্তর জেলার সভাপতি এম এ সালাম। শুরুতে প্রয়াত নেতাদের স্মরণে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। জনসভার মূল মঞ্চে বেলা সোয়া ১১টা থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন শিল্পীরা।
জনসভা মঞ্চে উঠে চট্টগ্রামের ২৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৬টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে : নদী ও সমুদ্রের তীরে বাঁধ, বিদ্যালয় ভবন, মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্র, নারীদের জন্য আবাসন, প্রশিক্ষণ ভবন ইত্যাদি। এছাড়া উল্লেখযোগ্য অন্য প্রকল্প হচ্ছে: চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি ও হাটহাজারী উপজেলায় হালদা নদী ও ধুরং খালের তীর সংরক্ষণ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প, সীতাকুণ্ড, ফটিকছড়ি ও রাউজানে টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, নাসিরাবাদে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রশিক্ষণ দফতর সংস্কার ও আধুনিকায়ন, নগর ও উপজেলার ১৪টি বিদ্যালয় ভবন, মিরসরাই ও লোহাগাড়ায় ১০ শয্যার মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্র, হর্টিকালচার সেন্টারের প্রশিক্ষণ ও অফিস ভবন ইত্যাদি।
দীর্ঘ ১০ বছর পর চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডে জনসভায় ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জনসভার মঞ্চ আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকার আদলে তৈরি করা হয়েছে। ৮৮ ফুট দৈর্ঘ্যের ও ১৬০ মিটার লম্বা এই মঞ্চে একসঙ্গে ২০০ অতিথি বসার ব্যবস্থা থাকে। চট্টগ্রাম নগর উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় সভাপতিত্ব করেন নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী। জনসভা সঞ্চালনা করেন চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন।
কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় পলোগ্রাউন্ড। ২০১২ সালের ২৮ মার্চ নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠে সর্বশেষ আওয়ামী লীগের জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দীর্ঘ ১০ বছর পর একই মাঠে আবার ভাষণ দেন। প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে পাল্টে যায় বন্দরনগরী চট্টগ্রামের চিত্র। পুরো নগরজুড়ে করা হয় সাজসজ্জা। উৎসবের আমেজ শহরের প্রতিটি প্রান্তে দেখা যায়। কারণ, বহুদিন পর আসেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সমাবেশ সফল করতে গত ১৫ দিন ধরে ব্যস্ত সময় পার করেন দলটির নেতা-কর্মীরা। এই জনসভায় স্মরণকালের জনসমাগম ঘটে।
আওয়ামী লীগের জনসভা ঘিরে এদিন সকাল থেকেই বাদ্য বাজিয়ে চট্টগ্রামের বিভিন্ন সংসদীয় এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা জনসভাস্থলের দিকে আসতে থাকেন। আর চট্টগ্রামের বাইরের উপজেলা থেকে বাস-ট্রাকে করে নগরীতে প্রবেশ করেন নেতাকর্মীরা। এরপর পায়ে হেঁটে মিছিল নিয়ে তারা জনসভাস্থলে যান। পুরো নগরীতে উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। জনসভায় যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ও বিশৃঙ্খলা এড়াতে আগে থেকেই স্থানীয় সংসদ সদস্যের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে মিছিল আনার সিদ্ধান্ত দেয় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।