স্টাফ রিপোর্টার – শান্তি ও নিরাপত্তার প্রশ্নে শেখ হাসিনা সরকারের পাশে আছে ভারত। বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা ও উন্নয়নের প্রশংসা করে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এমনটিই বলেছেন। নয়াদিল্লির সর্দার প্যাটেল ভবনে তার কার্যালয়ে মুজিবনগর এবং বিসিএস মুক্তিযোদ্ধা অফিসার ও কর্মচারী কেন্দ্রীয় কল্যাণ সমিতির সভাপতি এবং বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব মুহাম্মদ মুসার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন দোভাল। তখন তিনি এমন কথা বলেন।
তিনি বলেন, শান্তি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আমরা বাংলাদেশের স্থায়ী অংশীদার। ১৯৭১ সালে আমরা যেমন বাংলাদেশের সঙ্গে ছিলাম, তেমনি আমরা এই সরকারের পাশে আছি। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা। এ সময় উভয় দেশের পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়ে আলোচনা হয়। বাংলাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিশেষ করে চিনি সরবরাহ করতে দোভাল এবং কোয়াত্রাকে অনুরোধ করেন মুসা।
বৈঠকে বাংলাদেশকে সন্ত্রাসমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তোলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন দোভাল। বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা ও উন্নয়নের প্রশংসাও করেন তিনি। বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা ও উন্নয়নের প্রশংসা করে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল বলেছেন, শান্তি ও নিরাপত্তার প্রশ্নে শেখ হাসিনা সরকারের পাশে আছে ভারত।
এরআগে চলতি বছর সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় ভারত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও বাংলাদেশের পাশে থাকার কথা বলেছিলেন। নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, যে শক্তি আমাদের শত্রু, তাদের যেন আমরা একসঙ্গে মোকাবিলা করতে পারি। আগামী দিনগুলোতে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।
তিনি বলেছিলেন, সন্ত্রাসবাদ ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে সহযোগিতার বিষয়ে তারা জোর দিয়েছেন আলোচনায়। তিনি বলেছিলেন, ১৯৭১ সালের আদর্শকে জীবন্ত রেখে এই ধরনের শক্তিকে সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করা জরুরি, যারা আমাদের পারস্পরিক বিশ্বাসকে আঘাত করতে চায়।
মোদি বলেছিলেন, এশিয়ার মধ্যে ভারতের সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজার বাংলাদেশ। এই অগ্রগতিকে আরও ত্বরান্বিত করতে দ্বিপক্ষীয় সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (সেপা) করার আলোচনা দ্রুত সময়ের মধ্যে শুরু করতে চান তারা।
এ সময় দুই দেশের সম্পর্কের গুরুত্ব তুলে ধরে ভারত সরকারপ্রধান বলেছিলেন, বাংলাদেশ ভারতের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী এবং এই অঞ্চলে সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার। মানুষে মানুষে সংযোগের ক্ষেত্রে অব্যাহত উন্নতি হচ্ছে। গত কয়েক বছরে আমাদের সহযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আমি বহু দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছি। কোভিড মহামারি ও সাম্প্রতিক বৈশ্বিক পরিস্থিতি থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া এবং আমাদের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করা দরকার।