স্টাফ রিপোর্টার – প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থান জিরো টলারেন্স। মঙ্গলবার সকালে ডিএসসিএসসি কোর্সের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রচলিত নিরাপত্তা ঝুঁকির পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য নানামুখী ঝুঁকি মাথায় রেখেই কাজ করে যেতে হবে। এক্ষেত্রে সমন্বিত জাতীয় উদ্যোগের প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ যুদ্ধ চায় না। আলোচনার মাধ্যমে যেকোনো বিবাদ ও মতপার্থক্যের সমাধান চায়। জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রথাগত প্রস্তুতির পাশাপাশি ভবিষ্যতমুখী প্রশিক্ষণ জরুরি। তিনি বলেন, দেশের ব্যাংকে টাকা না থাকার বিষয়ে একটি মহল গুজব ছড়াচ্ছে। আপনারা কেউ গুজবে কান দেবেন না।
এ বছর ডিএসসিএসসি কোর্সে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৩৩ জন অফিসার গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন। বিমান, নৌ ও পুলিশ বাহিনীসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মোট ২৫০ জন কর্মকর্তা এই কোর্স সম্পন্ন করেছেন।
সরকার দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুদ্ধ কিংবা মতবিরোধের চেয়ে আলোচনার মাধ্যমে কোনো বিষয়ের সমাধানে আগ্রহী বাংলাদেশ। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেই প্রথাগত ও অপ্রথাগত ঝুঁকি মাথায় রেখে কাজ করতে হবে বলেও জানান সরকারপ্রধান।
গত একযুগের বেশি দেশের বিভিন্ন খাতের উন্নয়ন তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধ নয়, আলোচনায় বিশ্বাসী বর্তমান সরকার। আমাদের সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলা হয়েছে যুদ্ধের জন্য নয়। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়-এই নীতিমালা মেনেই প্রতিটি দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সুসম্পর্ক রেখেই আমরা রাষ্ট্র পরিচালনা করছি।
প্রযুক্তির বাস্তবতায় অপরাধের ধরন পাল্টে যাওয়ার কথা জানিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতে সর্বাত্মকভাবে কাজ করার নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। এ ছাড়া ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আরও অগ্রগামী বলেও দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন সরকারপ্রধান।
বহিঃশত্রুর হাত থেকে প্রিয় স্বদেশ রক্ষায়, দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে অর্জন করতে হয় নানামুখী সমর বিদ্যা। যেখানে সমরাস্ত্র চালনাই শুধু নয়, দীক্ষিত হতে হয় কৌশলগত জ্ঞান অর্জনও। মিরপুর সেনানিবাসের সামরিক বাহিনী কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজে, প্রতিরক্ষা খাতের গুরুত্বপূর্ণ নানা ধরনের কোর্সে শিক্ষাগ্রহণ করেন কর্মকর্তারা। যেখানে বিদেশ থেকেও আসেন প্রশিক্ষণার্থীও।
সকালে সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজে (ডিএসসিএসসি) এ বছরের কোর্স সমাপনী উপলক্ষে সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ১১ মাস দীর্ঘ এ কোর্সে এ বছর ২১ দেশের ৪৬ বিদেশি কর্মকর্তা, পুলিশের ৩ জন ও ৮ নারী অফিসারসহ মোট ২৫০ জন গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন। কমান্ড্যান্টকে সঙ্গে নিয়ে নিজ হাতে এসব সনদ বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।