স্টাফ রিপোর্টার – ঢাকায় প্রথম মেট্টোরেলের উদ্বোধন হয়েছে। সাধারণ যাত্রীরাও উঠতে শুরু করে দিয়েছেন। এখন ধাপে ধাপে ঢাকার পর চট্টগ্রাম এবং সব শহরে হবে মেট্টোরেল। সেই ঘোষনা আগেই দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বছর জানুয়ারিতে বলেছিলেন, শুধু ঢাকা কেন? চট্টগ্রামেও মেট্রোরেল হতে হবে। যেসব শহরের সঙ্গে এয়ারপোর্ট আছে, সেইসব শহরে পর্যায়ক্রমে সংযুক্ত করে প্রকল্প নিতে হবে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ঢাকায় ৬টি মেট্রোরেলের লাইন প্রতিষ্ঠার সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা রয়েছে। এর বাইরে চট্টগ্রামে সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। মন্ত্রী বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রামে আরও দুটি সার্ভিস লেন হবে। চলমান সংকটকালে আমরা বড় প্রকল্পের কাজ হাতে নিতে পারব না। মেট্রোরেলের প্রকল্প ছিল অনেক আগের নেয়া। আগামী বছর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে অর্ধেকটা ওপেন করতে পারব বলেও জানান তিনি।
মেট্রোরেলের ভাড়া নিয়ে সমস্যা হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, আমি একটি কথাই বলব, এখন রিকশায় উঠলেই ২০ টাকা ভাড়া দিতে হয়ে। ঢাকা ও কলকাতার মেট্রোরেল এক না। আগারগাঁওয়ের মেট্রোরেলের দিকে তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছা করে। এ সরকারের মেয়াদেই মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল উদ্বোধন হবে। অন্যান্য দেশের বিবেচনায় ঢাকার মেট্রোরেলের ভাড়া বেশি নয়।
তিনি বলেন, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর এবং কলকাতার মেট্রোরেল এর চেয়েও অনেক আধুনিক বাংলাদেশের মেট্রোরেল। মেট্রোরেল চলাচলের সময় কোনো ধরনের শব্দদূষণ হবে না। ঢাকা ও কলকাতার মেট্রোরেল এক না। আগারগাঁওয়ের মেট্রোরেলের দিকে তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছা করে।