Search
Close this search box.

সরকার সব ক্ষেত্রে সফল – স্পিকার

সরকার সব ক্ষেত্রে সফল - স্পিকার

স্টাফ রিপোর্টার – জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বৃটেনের বাংলাদেশ বিষয়ক অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের (এপিপিজি) সদস্যরা। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে নিশ্চিত করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন। তিনি লিখেছেন, ‘বৃটেন ও বাংলাদেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। বৃটেনের অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের বাংলাদেশ সফর এবং মাননীয় স্পিকারের সাথে একটি চমৎকার বৈঠকের মাধ্যমে দুর্দান্তভাবে ২০২৩ সাল শুরু হলো।’ স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, সরকার দেশে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করেছে। পাশাপাশি সরকার শতভাগ বিদ্যুতায়ন, মাতৃস্বাস্থ্য সুরক্ষা, মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান, এক কোটি মেয়ে শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান, নারীদের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন, শিক্ষাক্ষেত্রে নারীদের অগ্রগতিসহ সব ক্ষেত্রে সফলতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।

স্পিকারের সঙ্গে স্পিকারের সংসদ ভবনস্থ কার্যালয়ে ইউকে অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ (এপিপিজি) অন বাংলাদেশের সভাপতি রুশনারা আলীর নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করেন। এপিপিজি অন বাংলাদেশের সদস্য জনি রিনল্ডস, মোহাম্মদ ইয়াসিন ও টম হান্ট এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন উপস্থিত ছিলেন। সাক্ষাৎকালে তাঁরা বাংলাদেশের চলমান অভূতপূর্ব উন্নয়ন, বিরাজমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, নারীর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন, নারীশিক্ষার দৃশ্যমান অগ্রগতি, জলবায়ু পরিবর্তন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসন প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা করেন।

এ সময় রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে এপিপিজি অন বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন স্পিকার। তিনি বলেন, নিজ জন্মভূমিতে ফিরে যাওয়ার অধিকার রক্ষা ও পরিবেশগত দিক বিবেচনায় বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসন জরুরি। সম্প্রতি ওআইসি-পিইউআইসির প্রতিনিধিদল সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে গেছে। যা তারা রিপোর্ট আকারে আলজেরিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য কনফারেন্সে উপস্থাপন করবেন। এ বিষয়ে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্ম। ১৯৭২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাজ্য বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এরপর গত পঞ্চাশ বছরে দুই দেশের সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরলস প্রচেষ্টায় করোনা ও রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অনেক দেশের অর্থনীতি হিমশিম খেলেও বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগণের জীবনমানের উন্নয়ন নিশ্চিত করেছে বর্তমান সরকার।

ব্রিটিশ এমপি রুশনারা আলী বলেন, বাংলাদেশে নারীদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও শিক্ষাক্ষেত্রে তাদের ক্রমবর্ধমান অংশগ্রহণ সত্যিই প্রশংসনীয়। জলবায়ু পরিবর্তনসহ অন্য বৈশ্বিক বিষয়গুলোতে বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করার আশ্বাস প্রদান করেন তিনি। গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের ‘সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে’ মন্তব্য করে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বিভিন্ন ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের সফলতার বিষয়গুলো প্রতিনিধি দলের কাছে তুলে ধরেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ