স্টাফ রিপোর্টার- সাবেক মন্ত্রী ও ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেছেন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না।
তিনি বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ঘরে ঘরে ছাত্রলীগের দুর্গ গড়ে তুলতে হবে। ছাত্রলীগের নেতৃত্বে স্বাধীনতা বিরোধী সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সকলকে উক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান বাংলাদেশ আওয়ামীলগের প্রবীন এই নেতা।
ছাত্রলীগরে ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার বেলা ১১টার দিকে ভোলায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন- ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল মমিন টুলু, সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব। ভোলা জেলা ছাত্র লীগের সভাপতি রাইহান আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাসিব মাহমুদ হিমেলের সঞ্চালনায় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বছরব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ দৃশ্যমান, লক্ষ্য এবার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ-এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বছরব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
ছাত্রলীগের বছরব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ৪ জানুয়ারি সকাল ৬টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল সাড়ে ৮টায় ধানমন্ডিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, সকাল ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন এবং বিকাল ৩টায় শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ। ৬ জানুয়ারি দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শোভাযাত্রা এবং ৮ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, স্বেচ্ছায় রক্তদান, সংগৃহীত রক্ত বিতরণ ও শির্ক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ।
এছাড়া সুবিধাজনক সময়ে সম্ভাব্য কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ছাত্রলীগ, যা পরবর্তী সময়ে সুবিধাজনকভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান সাদ্দাম হোসেন। সম্ভাব্য এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে– প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশের ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত অনাবাদি জমিতে শাক সবজি-ফল চাষ, মাছ ও গৃহপালিত পশুপালন; প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধ ছাত্রসমাজ শীর্ষক মতবিনিময় সভা পরিচালনা; কনসার্ট ফর স্মার্ট বাংলাদেশ আয়োজন এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পুনর্মিলনীর আয়োজন।
সম্ভাব্য কর্মসূচির মধ্যে আরও রয়েছে– বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৭৫ বছর শীর্ষক স্মারক গ্রন্থ প্রকাশ; স্মার্ন্ট বাংলাদেশ আইডিয়া কনটেস্টের আয়োজন; সব সাংগঠনিক ইউনিটের দলীয় কার্যালয়ে লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা; উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে দেশব্যাপী বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে স্মার্ট বাংলাদেশের প্রাসঙ্গিকতা শীর্ষক প্রতিযোগিতা ও জাতীয়ভাবে স্মার্ট ইয়ুথ ক্যাম্প গড়ে তোলা; শেখ হাসিনার উন্নয়ন অগ্রযাত্রা নিয়ে স্মার্ট শর্ট ফিল্ম কমপিটিশন; বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ডেভেলপমেন্ট কুইজের আয়োজন; নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে নারীর ক্ষমতায়ন ও শেখ হাসিনা শীর্ষক বক্তব্য প্রতিযোগিতা; সজীব ওয়াজেদ জয় প্রোগ্রামিং কনটেস্টের আয়োজন; স্মার্ট বাংলাদেশ ও স্মার্ট ক্যাম্পাসের ওপর আন্তর্জাতিক অ্যাকাডেমিক কনফারেন্স; স্মার্ট বাংলাদেশ অলিম্পিয়াড; দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরস্কারপ্রাপ্ত মেধাবী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে চা চক্র; স্মার্ট বাংলাদেশ: আওয়ার কান্ট্রি আওয়ার ড্রিম শীর্ষক পোস্টার প্রেজেন্টেশনসহ অন্যান্য কর্মসূচি।