Search
Close this search box.

মেশিন কখনো বেইমানি করে না- ইসি হাবিব

স্টাফ রিপোর্টার-  নির্বাচন সুন্দর করতে হলে প্রশাসন, পুলিশ, জনগণ ও রাজনৈতিক দলসহ সবার ঐক্য প্রয়োজন। এককভাবে কারও পক্ষেই নির্বাচন সুন্দর করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.)।

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) সকালে খুলনা নগরীর আভা সেন্টারে ‘নির্বাচনে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে চ্যালেঞ্জ এবং উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এ কথা জানান।

ইভিএম মেশিন সম্পর্কে ইসি হাবিব বলেন, মেশিন কখনো বেইমানি করে না। তাই ইভিএমের ওপর জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে। ভোটারদের আস্থা অর্জনে আমরা অনেক এগিয়ে গেছি।

তিনি আরও বলেন, এ কাজের জন্য আমরা তৃনমূল পর্যায়ে ভোটার এডুকেশন দেবো। এ জন্যও সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।

মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, আমরা কোনো ধরনের অনিয়মের পক্ষপাতিত্ব করি না বা অনিয়মকে প্রশ্রয় দিই না এবং দেবও না তিনি ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে তারুণ্যদীপ্ত মেধাবী অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করে  ১৯৮০ সালে সাফল্যের সাথে কমিশন লাভ করেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে গৌরবময় ও সাফল্যমণ্ডিত ৩৫ বছরের কর্ম জীবনে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরিশ্রমী, মেধাবী ও দেশপ্রেমিক একজন কর্মকর্তা হিসেবে তিনি রেজিমেন্টাল স্টাফ অফিসার, সেনা সদর দপ্তরে জেনারেল স্টাফ অফিসার, বিভিন্ন ইউনিটের কমান্ডিং অফিসার এবং বর্ডার গার্ড রেজিমেন্টসহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত থেকে অসাধারণ পদচিহ্ন রেখেছেন।

১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে (বিএমএ) প্লাটুন কমান্ডার হিসেবে তিনি সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর নবীন অফিসার ক্যাডেটদের উৎকর্ষের আদর্শ প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। একই সময়ে তিনি বিএমএতে বিসিএস (প্রশাসন) ও বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষক হিসেবেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ওরিয়েন্টেশন কোর্স পরিচালনা করেন। তিনি সিগন্যাল ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড স্কুলের প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত মোজাম্বিকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত সামরিক পর্যবেক্ষক হিসাবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০০৩ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত সিয়েরালিওনে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন ফোর্স হেডকোয়াটারে সিগন্যাল সাপোর্ট কোম্পানির অফিসার কমান্ডিং হিসেবেও কৃতিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করেন।

সামরিক জীবনের পাশাপাশি ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) কমিশনার পদে পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করেন এবং সংস্থাটির ভাইস চেয়ারম্যান পদেও নিয়োগপ্রাপ্ত হন। এর আগে ২০০৯ সালে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত বিটিআরসির নিয়ন্ত্রক সক্ষমতা শক্তিশালীকরণ শীর্ষক প্রকল্পে তিনি মহাপরিচালক ছিলেন এবং ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বিটিআরসির তরঙ্গ ব্যবস্থাপনা বিভাগের মহাপরিচালকের দায়িত্ব সুনামের সাথে পালন করেন।

তিনি আমেরিকা, ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আয়োজিত সম্মেলনে সফলতার সাথে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের (আইটিইউ) মেক্সিকো সম্মেলনে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের কাউন্সিল সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং কোরিয়ার বুসানেও তিনি বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধি হিসেবে অংশগ্রহণ করে আইটিইউ এর কাউন্সিলর পদে বাংলাদেশের দ্বিতীয়বার বিজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন, যা ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়।

সমগ্র কর্মজীবনে তিনি পেশাগত প্রশিক্ষণ ও আনুষ্ঠানিক শিক্ষা উভয়ই ক্রমাগতভাবে দক্ষতা অর্জন করেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ নেয়ার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে সিগন্যাল অফিসার অ্যাডভান্স কোর্সে (এসওএসি-৮৯/৩) অসামান্য কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘আউটস্ট্যান্ডিং ইন্টারন্যাশনাল মিলিটারি স্টুডেন্ট’ হিসেবে ভূষিত হন। এছাড়াও সফলভাবে বেশকিছু পেশাগত প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করার পাশাপাশি  তিনি দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন সেমিনার, ওয়ার্কশপ এবং সিম্পোজিয়ামে কৃতিত্বের সাথে অংশগ্রহণ করেছেন।  তিনি সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যবসা প্রশাসনে স্নাতকোত্তর (এমবিএ) ডিগ্রি অর্জন করেন।

অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন- নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবীর, মুক্তিযুদ্ধের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আলমগীর কবীর, জেলা প্রশাসনের উপ পরিচালক মো. ইউসুফ আলী।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ